
নিজস্ব প্রতিনিধি,চন্দ্রকোনা রোড়:
এবার মাল গাড়িতে বিপত্তি। চন্দ্রকোনা রোড থেকে মেদিনীপুরে আসার পথে ক্যাপলিং খুলে বিপত্তি ঘটে। যার জেরে ২২ টি বগি রেখে দিয়েই এগিয়ে যায় ইঞ্জিন।যদিও পরবর্তীকালে চালকের নজরে আসতে তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন।রেলের আধিকারিকরা দৌড়ে আসেন।অনেকগুলি ট্রেন বাতিল করে অবশেষে কাপলিং জোড়া লাগিয়ে গন্তব্যস্থলে রওনা দেয় মালগাড়ি।

অল্পের জন্য বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা! চলন্ত মাল গাড়ির বগির থেকে কাপলিং খুলে বিপত্তি। চলন্ত অবস্থাতেই দুভাগ হয়ে গেল মালগাড়ি। ঘটনার জেরে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্টেশনে।জানা গিয়েছে,রবিবার সকালে চন্দ্রকোনা রোড স্টেশন পেরিয়ে মেদিনীপুরের দিকে আসছিল একটি মালগাড়ি।কিন্তু স্টেশান পেরিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পরেই খুলে যায় কাপলিং।ইঞ্জিনের সাথে পাঁচটি বগি এগিয়ে যায়।বাকি ২২ টি বগি ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়ে যায়।এরপর বেশ কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর বিষয়টি নজরে এসে চালকের।খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আদ্রা ডিভিশনের আধিকারিকরা।সাথে সাথেই একাধিক স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনকে।তবে কি কারনে এই ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখছে রেলের আধিকারিকরা।

এরপর ঘন্টা খানেক পরেই কাপলিং জোড়া লাগিয়ে ফের গন্তব্যস্থলে রওনা দেয় মাল গাড়ি।এই ঘটনায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে রেল কর্তৃপক্ষ। যদিও এই নিয়ে এক আধিকারিকের মতে খতিয়ে রাখা হচ্ছে কেন এই কাপলিং খুলে গেল সে নিয়ে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,রেল দুর্ঘটনা পিছু ছাড়ছে না ভারতীয় রেলের।সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি ভয়ংকর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো রেল যাত্রীর, ক্ষতি হয়েছে কয়েকশো কোটি টাকার।অনেকেই রেল ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।এছাড়াও এই মালগাড়ির কাপলিং খুলে নতুন ঘটনা না। কিছুদিন আগেও হাওড়া সাঁতরাগাছি রুটে এই কাপলিং খুলে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছিল মাল গাড়ির।

এই ঘটনায় স্থানীয় শুভ সরকার বলেন আমরা দেখলাম একটি মালগাড়ি তার বগি রেখেই পালিয়ে যায়।যদিও তার জেরে বহু যাত্রীবাহী ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে পরপর।বহু ট্রেনকে বাতিলও করা হয়।তিনি এও আশঙ্কা করেন এটা যদি দিনের বদলে রাতে হতো তাহলে হয়তো ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা গড়ে যেতে পারতো।রেলের এটা বড় গাফিলতি,এই গাফিলতি অবিলম্বেই শুধরানো উচিত।