Nepal Incident:পুজোর মুখে সোনার কাজে গিয়ে নেপালে আটকে পরিযায়ী শ্রমিকরা!কবে ফিরবে তারা দুঃশ্চিন্তায় সকলেই

Share

দাসপুর 11 ই সেপ্টেম্বর:

নেপালের পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর থেকে ভয়ানক হচ্ছে।অন্যদিকে কাজ করতে গিয়ে আটকে ঘাটাল দাসপুর চন্দ্রকোনার পরিযায়ী শ্রমিকরা।না হচ্ছে যোগাযোগ না কোন ফেরার সম্ভাবনা। পুজোর মুখে প্রিয় লোকটিকে ফেরানোর দুশ্চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা।যদিও প্রশাসন আধিকারিকদের বক্তব্য চালু হয়েছে হেল্পলাইন।

কর্মসূত্রে নেপালে রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল,চন্দ্রকোনা,দাসপুরের একাধিক পরিবারের সদস্যরা।তার মধ্যে নেপালে কর্মরত দাসপুরের সংখ্যাটা বেশিই।দাসপুরের গোপালপুর, কোটালপুর,গোপীনাথপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কর্মসূত্রে রয়েছেন নেপালে।কারও বাবা,কারও ছেলে আবার কারও পরিবারের অন্য সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে নেপালে সোনার কাজে কর্মরত।তেমনই দাসপুরের গোপীনাথপুর এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা জানান বর্তমানে নেপালে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে চিন্তিত নেপালে কর্মসূত্রে থাকা ব্যক্তিরা ও তাদের পরিবারের লোকজন।নেপাল থেকে সরাসরি পরিবারের লোকজনকে অনলাইন কল ও ভিডিও কলের মাধ্যমে নেপালের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানাচ্ছেন।

কেউ কেউ জানান এখন যোগাযোগ করা যাচ্ছে না,যারফলে চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের লোকজনের।বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দূর্গাপূজোয় বাড়ি আসার কথা তাদের, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তারা কিভাবে বাড়ি ফিরবেন তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।দাসপুর থেকে সরাসরি নেপালে যাওয়ার বেশ কিছু বাস চলাচল হয়,এই পরিস্থিতির জন্য বন্ধ পরিবহন পরিষেবা।এই অবস্থায় কিভাবে বাড়ি ফিরবে,পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তাই নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় সকলেই।

ছেলে না ফেরায় এই বিষয়ে নবকুমার ধাড়া বলেন,”ছেলেকে পড়াশোনা শিখিয়েছি বলেছিলাম এখানে কাজ করতে কিন্তু ও শোনেনি।গত ১০ বছর ধরে নেপালে সোনার কাজ করে।গত পরশুদিন পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল কিন্তু গতকাল থেকে আর যোগাযোগ নেই।আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।কারণ নেপালের যা পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সেটাই এখন প্রশ্নের। অভিজিৎ ধাড়া বলেন,”বাবা চার বছর ধরে শোনার কাজে নেপালে রয়েছে সম্প্রতি পুজোর সময় আসার কথা ছিল কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে আসতে পারবে বলে মনে হয় না তবে হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ হয়েছিল।এখনের পরিস্থিতি যোগাযোগ সম্ভব হয়ে ওঠেনি।আমরা চিন্তায় রয়েছি।আমরা চাই ভারত সরকার আমাদের পরিবারের লোকজনদের ফিরিয়ে নিয়ে আসুক।

অন্যদিকে রীনা সামন্ত বলেন অজিত সামন্ত, সঞ্জিত সামন্ত দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরে নেপালে কাজ করছে এবং এ পুজোয় আসার কথা ছিল।কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিতে ওদের সঙ্গে ফোনে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।ওরাও জানাচ্ছে সেই ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা। যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন ওখান থেকে থেকে ফিরতে পারবে না ওরা। আমরা চিন্তায় রয়েছি।সুপ্রিয়া খামরুই বলেন ওখানকার পরিস্থিতির দিনের পর দিন ভয়ংকর উঠছে,আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ফোনে।ওরা আমাদের ভিডিও দেখাচ্ছে তাই ভেতর থেকে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। কবে ফিরবে সেটাই এখন দেখার।তবেপ্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যেমন যেমন নির্দেশ আসবে তেমন তেমন কাজ চলবে আমাদের।

এ বিষয়ে জেলার জেলা শাসক খুরশেদ আলী কাদরী বলেন আমাদের ইতিমধ্যে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো সবকিছুই ব্যবস্থা করা হয়েছে।সেই সঙ্গে হেল্পলাইন চালু হয়েছে। তবে এখনো গোটা জেলার পরিযায়ী শ্রমিক বা কতজন নেপালে রয়েছে তার সংখ্যা এখনই বলা সম্ভব নয়।তবে আমরা সবকিছুই নখদর্পণে রেখেছি।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in