Birbaha Form:পাড়ার সকলের ইমুনারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার পরেই নিজের ফর্ম BLO কে তুলে দিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা

Share

ঝাড়গ্রাম 24 সে নভেম্বর:

হাতে একটু সময় নিয়ে ‘সার’ করলে এত সমস্যা হতো না’, ইমুনারেশন ফর্ম পূরণ করে বিএলও হাতে তুলে দিয়ে বললেন রাজ্যের বন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১৮ নাম্বার ওয়ার্ডের ১৭৩ নম্বর বুথে ভোটার মন্ত্রী। নিজের পাড়ার সমস্ত ভোটারের ইমুনারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার পরেই ফর্ম পূরণ করে বিএলও এর হাতে সোমবার সকালে তুলে দিলেন মন্ত্রী।

এই নিয়ে বিএলও জঙ্গলখাস প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক উত্তম বারিক বলেন,’ মন্ত্রী ম্যাডাম জানিয়েছিলেন এই বুথের সকলের ফর্ম জমা দেওয়ার পরেই তিনি তাঁর ফর্ম জমা দেবেন। সেই মতো ইমুনারেশন ফর্ম তুলে দিলেন তিনি’। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগরপল্লীতে নিজের বাড়িতেই বিএলওর হাতে ফর্ম তুলে দেন মন্ত্রী। জানা গিয়েছে, ১৭৩ নাম্বার বুথে এক হাজার চারজন ভোটার রয়েছে। একটা পরিবার অনুপস্থিত থাকায় প্রায় সকলের ইমুনারেশন ফর্ম সংগ্রহ করেছে নিয়েছে বিএলও।ইমুনারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার পর মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন,’ আমাদের সমস্ত নথি ঠিক থাকায় ইমুনারেশন ফর্ম দাখিল করতে কোন সমস্যা হলো না। গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া মানুষজনের মধ্যে এসআইআর নিয়ে একটা ভয় এখনো কাজ করছে। ঝাড়খণ্ড থেকে যে সমস্ত মেয়েরা এখানে বিয়ে হয়ে এসছে, তাঁদের ক্ষেত্রে একটু সমস্যা রয়েছে, এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে অনেকেই।

এটা একটু সময় নিয়ে করলে আমার মনে হয় ভালো হতো’। এসআইআরের আতঙ্কে অনেক জায়গায় বিএলও আত্মঘাতী হয়েছেন, অসুস্থ হয়েছেন সেই প্রসঙ্গে বীরবাহা বলেন,’ এটা তো আতঙ্কের ব্যাপার। বিএলওরা যেখানে দায়িত্বে রয়েছেন সেখানে যদি কোন মানুষের নাম বাদ চলে যায়, সে ক্ষেত্রে তো বিএলওদের একটা ভয়ের ব্যাপার রয়েছেই। কারণ সকাল সন্ধ্যা সেই মানুষগুলোর সঙ্গে তাঁদের দেখা হবে। সারাদিন ধরে ডিউটি করার পর রাতে কাজ করা অনেকেই মানসিকভাবে তা নিতে পারছে না। সাধারণত বিএলওদের উপর প্রচুর পরিমাণে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। হাতে একটু সময় নিয়ে ‘সারে’র কাজ করলে ভালো হতো তাহলে বিএলও থেকে সাধারণ মানুষ কেউ আতঙ্কিত হতো না’।বাংলার ভোট রক্ষার শিবির প্রসঙ্গে বীরবাহা বলেন, ‘জেলার প্রতিটি বুথে দলীয়ভাবে বাংলার ভোট রক্ষা শিবির করা হচ্ছে এবং ইমুনারেশন ফর্ম পূরণে সাধারণ মানুষজনকে সহযোগিতা করা হচ্ছে শিবির থেকে।

লোধা শবর ও আদিবাসী জনজাতিদের ফর্ম পূরণ প্রসঙ্গে বীরবাহা বলেন,’ লোধা শবর ,আদিবাসীরা এখানকার আদিম জনগোষ্ঠী। তাঁদের যেন কারো কোন প্রকার সমস্যা না হয় তার জন্য আমি জেলা শাসকের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। কারণ তাঁরা বাইরে থেকে কেউ আসেনি এই এলাকারই আদিম জনগোষ্ঠী।

লোধা শবর, আদিবাসীদের এসআইআরে নাম তুলতে কোন সমস্যা না হয় তার জন্য আমরা বিশেষভাবে নজর রেখেছি’।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in