Steel Express:দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান!সরডিহা রেল স্টেশনে স্টপেজ পেল স্টিল এক্সপ্রেস,সবুজ পতাকা নাড়ালেন সাংসদ

Share

ঝাড়গ্রাম 1 লা সেপ্টেম্বর:

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হল। দক্ষিণ পূর্ব রেলের ঘোষণা অনুযায়ী সরডিহা রেল স্টেশনে সোমবার পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে স্টপেজ পেল টাটানগর-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস।সেই করোনা পরিস্থিতির সময় কোন এক অজ্ঞাত কারণে স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজ তুলে নেওয়া হয় সরডিহা স্টেশন থেকে।এদিন ফের চালু হওয়ায় স্বভাবতই খুশি ঝাড়গ্রাম বাসী।

মূলত কোভিড পরিস্থিতির সময় কোন এক অজ্ঞাত কারণে স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজ তুলে নেওয়া হয় ঝাড়গ্রাম সরডিহা স্টেশন থেকে।যদিও তারপর দীর্ঘ আন্দোলন,রেল অবরোধ করেছিল এলাকার মানুষজন। দীর্ঘ জলঘোলার পর এদিন স্টপেজ পেতেই সরডিহা রেল স্টেশনে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে এক্সপ্রেস কে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন ঝাড়গ্রাম লোকসভার সাংসদ কালিপদ সোরেন। এদিন সাংসদ এর সঙ্গে ছিলেন ঝাড়গ্রাম ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অজিত মাহাতো,সরডিহা স্টেশনে স্টিল এক্সপ্রেসের দাবিতে আন্দোলনকারী ওই এলাকার বাসিন্দা তথা জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মহাশীষ মাহাতো।

এই বিষয়ে মহাশীষ বলেন,’দীর্ঘ আন্দোলনের সমাপ্তি হল আজ। রেলস্টেশনে ট্রেনের দাবিতে একাধিক বার রেল অবরোধের সামিল হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সরডিহা, লোধাশুলি, মানিক পাড়া,বালিভাষা, গোপীবল্লভপুর সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন স্টিল এক্সপ্রেস করে হাওড়া অথবা টাটানগর যাতায়াত করেন। করোনা পরিস্থিতিতে ট্রেনের স্টপেজ তুলে নেওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছিল বহু মানুষকে। গাড়ি ভাড়া করে খড়গপুর অথবা ঝাড়গ্রামে গিয়ে ট্রেন ধরতে হতো। পুনরায় স্টপেজ ফিরিয়ে দেওয়ায় রেলকে ধন্যবাদ জানাই’।সরডিহা রেল স্টেশনে স্টিল এক্সপ্রেসের দাবিতে রেল প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি সংসদ অধিবেশনেও জানিয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কালিপদ সোরেন।

এদিন কালিপদ বলেন,’স্টপেজের জন্য এলাকার মানুষজন আমাকে একাধিকবার জানিয়েছিলেন।আমিও রেল প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ অধিবেশনে স্টপেজের দাবি জানিয়েছিলাম। উন্নয়নের বিষয়ে রেলের সঙ্গে যেকোন আলোচনা এবং বৈঠকেও সরডিহা রেল স্টেশনে স্টিল এক্সপ্রেসের দাবি তুলেছিলাম। স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজ চালু হওয়ায় রেলকে ধন্যবাদ জানাই’। স্টিল এক্সপ্রেস দক্ষিণ পর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেস। টাটানগর এবং হাওড়া যাতায়াত করে এই ট্রেনটি। প্রতিদিন সকালে টাটানগরে ট্রেনটি ছেড়ে হাওড়া পৌঁছায় এবং বিকেলে হাওড়া ছেড়ে রাতে টাটানগর পৌঁছায়।

এই ট্রেনের উপরেই নির্ভর করে বহু মানুষ হাওড়া হয়ে মহানগরী কলকাতা এবং ঝাড়খন্ড রাজ্যের জামশেদপুরে যাতায়াত করেন।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in