
কেশিয়াড়ি 23 সে সেপ্টেম্বর:
পুলিশি তৎপরতায় বড়সড় ডাকাতি বানচাল!ব্যাংকে ঢুকে ডাকাতি করতে আসা দুই ব্যক্তিকে গেট লাগিয়ে,ধাওয়া করে পাকড়াও পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয়রা।পুলিশ সুপার জানালেন পাশের জেলায় ডাকাতি হওয়ার পর থেকেই আমাদের পুলিশ সদা সতর্ক ছিল,আমাদের টিম তাদের মনিটরিং করত।আজকে ব্যাংকে কোন ঘটনা ঘটানোর আগেই তাদের আমরা হাতেনাতে ধরে ফেলেছি।

পুজোর আগে কেশিয়াড়ি ব্লকের খাজরা এলাকায় ব্যাংক ডাকাতি করতে আসা ২ ব্যক্তিকে ধরল পুলিশ, সূত্র মারফত খবর পেয়ে কেশিয়াড়ি থানার আইসি বিশ্বজিৎ হালদার হাতেনাতে ধরে ফেলে দুই দুষ্কৃতিকারী দের।গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের দুঃসাহসিক ডাকাতির পর আজ আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের খাজরাতে একটি শাখা ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা করলে স্থানীয়দের তৎপরতায় পুলিশের জালে দুজন ডাকাত।সূত্রে জানা যায় মঙ্গলবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খাজরা এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত শাখা ব্যাঙ্ক এ টাকা জমা দেওয়ার নাম করে প্রবেশ করেন লম্বা চওড়া দুই ব্যক্তি। তারা হিন্দিতে কথা বলা শুরু করে তাদের একাউন্টে টাকা পাঠানোর কথা বলেন ব্যাঙ্কের মালিক বিপুন গিরি কে।এই ঘটনায় ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষের সন্দেহ হয়।গোপনে ওই এলাকায় থাকা এক সিভিক কে ফোন করেন।উপস্থিত সিভিক পুলিশ দৌড়ে এসে ওই ব্যাঙ্ক এর গেট লাগানোর চেষ্টা করলে দৌড়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে ওই দুই ব্যক্তি।

এরপর তাদের পেছনে ধাওয়া করে স্থানীয়রা। অতি তৎপরতায় দুজন কেই ধরে ফেলে।এরপর কেশিয়াড়ী থানার আইসি বিশ্বজিৎ হালদার এর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী জিঙ্গাসাবাদ এর জন্য দুজনকে কেশিয়াড়ী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরে ডাকাতির পরে পুলিশের কাছে আগে থেকে মোট চারজন অপরাধীর ছবি ছিল, যারা বিভিন্ন ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত।তাদের নিয়ে সন্ধানও চালাচ্ছিল পুলিশ গোপনে।তার মধ্যে এইদিন কেশিয়াড়িতে ধরা পড়লো দুজন,বাকি দুজনের তল্লাশি চালাচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।পাশাপাশি গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে এরা যুক্ত কিনা তার সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি যে বাইকে করে এই দুই ব্যক্তি আজ এসেছিলেন সেই বাইকটি কার এবং কোথা থেকে পেলেন সে বিষয়েও খোঁজখবর শুরু করেছে তারা।

যদিও এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন,” পাশের জেলায় ডাকাতি হওয়ার পর থেকে আমরা সদা সতর্ক ছিলাম।আমাদের নির্দিষ্ট মনিটরিং টিম তাদের মনিটরিং করছিল।এদিন তাদের ব্যাংকে ডাকাতি হওয়ার আগেই ধরে ফেলা হয়।এরা মূলত চুরি ছিনতাই করে ইরানি গ্যাং নামে পরিচিত।এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।