
কলকাতা 11 ই নভেম্বর:
SIR আবহে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে মঙ্গলবার উদ্বোধন হলো ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল ইউনিটের।মুখ্যমন্ত্রীর কথা মত এই মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিটে হিমোগ্লোবিন, প্রেগন্যান্সি, ম্যালেরিয়া, ইসিজি, ব্লাড সুগার-সহ ৩৫টি রোগের পরীক্ষা করা যাবে বিনামূল্যে।তিনি এও বলেন এই পরিষেবা চালাতে বছরে সরকারের প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ হবে।

ভোটের আগেই স্বাস্থ্য নিয়ে বিশেষ মেডিক্যাল ইউনিটের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মূলত
রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রাম,পাহাড়ি এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ বার বড় পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। এইদিন স্বাস্থ্যভবন থেকে ১১০টি মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিটের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই ভ্যানে চিকিৎসা সংক্রান্ত আধুনিক যন্ত্র, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জিনিসপত্র থেকে শুরু করে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধ থাকবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যসভার সাংসদদের উন্নয়নের তহবিল বাবদ প্রাপ্ত ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২১০টি মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট তৈরি রাখা হয়েছে। এ দিন তার মধ্যে ১১০টির উদ্বোধন করা হয়েছে। এই মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিটগুলি ভাম্যমাণ।

এই মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিটে হিমোগ্লোবিন, প্রেগন্যান্সি, ম্যালেরিয়া, ইসিজি, ব্লাড সুগার-সহ ৩৫টি রোগের পরীক্ষা করা যাবে বিনামূল্যে। এই পরিষেবা চালাতে বছরে সরকারের প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪ বছরে রাজ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিপ্লব এসেছে, এ দিন দাবি করেন তিনি।

উদ্বোধনের পর এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিটে সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং ওষুধও থাকবে।যেখানে যেখানে এই ইউনিট যাবে,সেখানকার মানুষজনকে আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।এতে বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং শিশুরা।এ ছাড়াও আরও অনেক রোগের চিকিৎসা হবে। প্রয়োজনে কোনও রোগীকে হাসপাতালেও রেফার করা যাবে এই ইউনিটগুলি থেকে।’এইদিন এই মেডিকেল ইউনিট উদ্বোধন ঘিরে সাজ সাজ রব কলকাতায়।

এ দিন সরকারের এই নতুন প্রকল্প উদ্বোধনের পরে ফের SIR ইস্যুতে সরব হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, আগে অনেকের জন্ম বাড়িতেই হতো, বিশেষ করে গ্রামেগঞ্জে। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক কোনও জায়গায় জন্ম না হওয়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটে উল্লেখিত তারিখই ডেট অফ বার্থ বলে বিবেচিত হয়।’ বর্তমানে ৯৯.৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই কোনও প্রতিষ্ঠানে শিশুদের জন্ম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।