
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
অবশেষে ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরল। দীর্ঘ ৬০ দিন চিকিৎসা চলার পর মাম্পী সিং ফিরল জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি।যদিও তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনও ওষুধ ফ্রিতে ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের।তবে আরেক অসুস্থ প্রসূতি নাসরিনের ডায়ালিসিস চলছে এবং দ্রুত সে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে বলে আশাবাদী জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।

অবশেষে দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল মেদিনীপুর প্রসূতি মৃত্যু কাণ্ডে মাম্পি সিং।যদিও চিকিৎসকের কড়া নির্দেশিকা এবং ট্রিটমেন্টে থাকবেন এই প্রসূতি মা।প্রসঙ্গত,জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখ নাগাদ মেদিনীপুর সদর হাসপাতালের মাতৃমাতে শিশুদের জন্ম দেওয়ার পর পাঁচ প্রসূতি হঠাৎ ই অসুস্থ হয়ে যায়।এই অসুস্থ প্রসূতিরা হলেন মামনি রুইদাস,মাম্পি সিং,রেখা সাউ,নাসরিন খাতুন ও মিনারা বিবি।এরপর মামনি রুইদাসের মৃত্যু হলে চটজলদি সকাল হতেই সেই অসুস্থ প্রসূতিদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ চার প্রসূতি কে রেফার করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের আইসিইউ-তে।সেখানে ট্রিটমেন্ট চলার পর অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি কলকাতা রেফার করা হয় মাম্পি সিং,নাসরিন খাতুন ও মিনারা বিবি নামে তিন প্রসূতি কে।এত বড় ঘটনায় অভিযোগ উঠে হাসপাতালের স্যালাইনের বিষক্রিয়া এবং চিকিৎসার গাফিলতির।

এরপর তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী সিআইডি তদন্ত এবং সাসপেনশন অর্ডার সেই সঙ্গে অভিযোগ করার নির্দেশ দেন ঐদিন দায়িত্বে থাকা জুনিয়র ডাক্তার সহ মোট ১৩ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।অন্যদিকে কিছুদিন যাওয়ার পরেই মৃত্যু হয় রেখা সাউয়ের পুত্রের।তবে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে মিনারা বিবি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।কিন্তু বাকি দুই প্রসূতির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চিকিৎসা চলছিল এতদিন।অবশেষে দীর্ঘ ৬০ দিনের মাথায় বাড়ি ফিরলেন অসুস্থ প্রসূতি মাম্পি সিং।মাম্পি সিং এর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সাতপাটি এলাকায়।তবে সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের করা নির্দেশিকা এবং তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই মাম্পিকে।যদিও এই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় খুশি মাম্পি সিং এর পরিবার,খুশি মেদিনীপুরের মানুষজন।

এই বিষয়ে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর সড়ঙ্গী বলেন,”আমরা খুবই খুশি এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য সমিতির পক্ষ থেকে পিজি হাসপাতালের ডাক্তার বাবু শহর ডিরেক্টর এবং সকল কর্মচারী বৃন্দদের অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।তার একটাই কারণ এরকম একটা গুরুতর পেশেন্ট কে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।ওদের মেডিকেল বোর্ড বসেই সুস্থ ঘোষণা করতে আমরা অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছিলাম সেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই এসেছে আমাদের মাম্পি।যদিও আমাদের BMOH এবং পুলিশের আধিকারিকরা ওকে সুস্থ মতো বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছে সেসঙ্গে ওর বাচ্চার জন্য কিছু ব্যবস্থাও করা হয়েছে।


সেই সঙ্গে ওর চিকিৎসার ওষুধ যাতে ফ্রিতে ও পেতে পারে তার ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি।তবে আরেক প্রসূতি নাসরিনের এখনো ডায়ালিসিস চলছে।তবে ও খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে বলেই আশাবাদী আমরা