
মেদিনীপুর 13 ই নভেম্বর:
সংসার বাচ্চা কাচ্চা সামলে আমরা চাকরি করি। চাকরির সঙ্গে সঙ্গে দেশের স্বার্থে আমরা এই ইনুমেরেশন ফর্ম বিলি করা কাজ নিয়েছিলাম কিন্তু দিনের পর দিন নির্বাচন কমিশন থেকে এক্সট্রা করে যেভাবে আমাদের কাজ চাপিয়ে দিচ্ছে তাতে আমরা হয়রানি হচ্ছি।তাই আমরা নতুন করে ডাটা এন্ট্রির কাজ করব না আমরা বিডিও কে জানিয়ে দিলাম এবার ক্ষুব্ধ BLO রা বিক্ষোভ দেখালেন বিডিওকে। যদিও তাদের আশ্বাস দিলেন বিডিও।

SIR এর ইনুমেরেশন ফর্ম ফিলাপ জমা দেওয়া নিয়ে রীতিমত রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা রয়েছে। বিশেষ করে প্রতিদিন নতুন নতুন করে কমিশনের নির্দেশিকায় দ্বন্দ্বে পড়েছে বি এল ও রা। প্রথম শুরুতে এক ধরনের গাইডলাইন এরপর ফরম বিলির পরে আরেক ধরনের গাইডলাইন সেই সঙ্গে এক্সট্রা করে নতুনত্ব কাজ চাপিয়ে দেওয়ায় এবার আন্দোলনের পথে মেদিনীপুরের বিএল ও রা। ঘটনা ক্রমে জানা যায় এই দিন BLO দের নিয়ে এক বৈঠক ডাকা হয়েছিল মেদিনীপুর সদরের বিডিও অফিসে। এদিন BLO রা হাজির হন। কিন্তু সেই বৈঠকে নতুন করে এই ফর্ম বিলি জমা নেওয়ার পাশাপাশি ফরম ফিল আপ হওয়ার পর তা এন্ট্রি করে তুলতে হবে বি এল ও দের।এই নির্দেশিকা দিতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে BLO রা। ক্ষোভ বিক্ষোভের পর তারা রীতিমত সদরের বিডিও কে তাদের অভিযোগ পত্র জমা দেন। তাদের অভিযোগ পত্র অনুযায়ী জানা যায় যে নতুন করে এন্ট্রির কাজ তাদেরকে দেওয়া হয়েছে।

যা তারা কিছুতেই করবেন না। এই BLO দের অভিযোগ, “দেশের স্বার্থে চাকরির পাশাপাশি এই ফর্ম বিলি করতে আমরা রাজি হয়েছি। সেই সঙ্গে ফর্ম জমা নেব এটাও রাজি হয়েছে আমরা। কিন্তু দিনের পর দিন নির্বাচন কমিশন থেকে নতুন নতুন নির্দেশিকা আসছে যা আমরা আর করতে পারবো না। আমাদেরকে স্কুল চালানোর পাশাপাশি এই কাজ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কারন আমরা সংসার সামলে,পড়াশোনা সামলে এই কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছি। যদিও প্রথমে আমাদেরকে এক্সট্রা করে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট দেওয়ার কথা হয়েছিল কিন্তু তা হয়নি এখনো পর্যন্ত।আবার নতুন করে নির্দেশিকায় আমাদেরকে ফর্ম দেওয়া নেওয়ার সঙ্গে এন্ট্রি করে তোলার কাজ দেওয়া হয়েছে।এই এন্ট্রির কাজ আমাদের পক্ষে সম্ভব না।পর এদিন ক্ষুব্ধ BLO রা মেদিনীপুর সদরের BDO কে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি একটি অভিযোগ পত্র জমা দেন।যদিও এই বিষয়ে আশ্বাস দেন সদর বিডিও।

এই বিষয়ে BLO বিধিতা সাউ বলেন,”আমি একজন প্রথমে মা, অমরা সংসারের তাগিদে চাকরি করতে আসা।দেশের স্বার্থে আমরা ফর্ম বিলি করা এবং জমা নেব বলে অঙ্গীকার করেছি। কিন্তু দিনের পর দিন কমিশন থেকে যেভাবে একের পর এক নির্দেশিকা চাপিয়ে দিচ্ছে তার ফলে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।নতুন করে চাপিয়ে দেওয়া এই ডাটা এন্ট্রির কাজ আমরা কিছুতেই করতে পারব না। তাই আমরা বিডিওকে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছি।” অন্যদিকে ক্ষুব্ধ বি এল সঞ্জিত কুমার ঘনা বলেন,”আমাদেরকে ট্রেনিং এর জন্য ডাকা হয়েছিল কিন্তু ট্রেনিংয়ে এসে দেখলাম নতুন করে আমাদের নির্দেশিকা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই আমাদের অনেকেই বয়স্ক হয়ে পড়েছেন।অনেকেই চাকরি সংসার সামলে হিমশিম খাচ্ছেন।তার উপর এই নতুন করে ডাটা এন্ট্রি আপলোড করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে আমাদের BLO দের।তাই আমরা এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করব না বলে অঙ্গীকার করেছি।

অন্যদিকে মেদিনীপুর সদরের বিডিও কাহেকাসান পারভিন বলেন,”উনারা বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন আমাদের কাছে আমরা শুনেছি আমরা বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি উনি যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেন নির্বাচন কমিশন থেকে যেমন গাইডলাইন আমাদের কাছে আসে আমরা তেমনি জানাই ওনাদের।