
মেদিনীপুর 17 ই সেপ্টেম্বর:
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বারে বারে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হচ্ছে মেদিনীপুরে। বি এল ও এর তালিকায় মেদিনীপুরের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নাম।যা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি।যদিও নেতার বক্তব্য জোর করে নাম ঢুকিয়ে রেখেছে নির্বাচন কমিশন,এতে আমার কোন দায় দায়িত্ব নেই।অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য অভিযোগ এসেছে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফের বি এল ও তালিকা নিয়ে বিতর্ক মেদিনীপুরে।এবার BLO খোদ শাসক দলের জেলা জেলা কমিটির সম্পাদক।SIR আবহে বি এল ও তালিকায় তৃণমূল নেতার নাম! মেদিনীপুরে বিতর্ক।এই ঘটনায় বিজেপির তরফে অভিযোগ দায়ের নির্বাচন কমিশনের কাছে।যদিও সাফাই দিয়ে ইলেকশন কমিশনকেই দায়ী করলেন তৃণমূল নেতা।অন্যদিকে এই ঘটনায় সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনা ক্রমে জানা যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ২৩৬ নম্বর মেদিনীপুর বিধানসভার ১৮৩ নম্বর পার্টের বিএলও হিসেবে তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তৃণমূল নেতা শংকর মাঝির নাম। কে এই শংকর মাঝি?মেদিনীপুর শহরের একটি বিদ্যালয়ে গ্রুপ সি কর্মচারী।তবে তার আরো একটি রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে শহরবাসীর কাছে।তিনি মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরেই।

শুধু তাই নয়, অতীতে তিনি বিভিন্ন নির্বাচনের সময় তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচার থেকে ভোট ও করিয়েছেন।মেদিনীপুর শহরের কর্নেলগোলা ধর্মা এলাকায় তার তৃণমূল নেতা হিসেবে যথেষ্ট যথেষ্ট নাম ডাক রয়েছে।এছাড়া যে কোন মিটিং মিছিল সহ তৃণমূলের প্রতিবাদ স্তরেও তাকে দেখা যায় প্রায় সময়।যা নিয়ে অভিযোগ করেছে বিজেপি।এমন এক নেতার নাম বিএলও তালিকায় কেন? প্রশ্ন তুলে ইমেলে জেলাশাসক,মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি শংকর গুছাইত। তিনি এও বলেন এইভাবে পক্ষপাত নিয়ে কিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। অন্যদিকে এই ঘটনায় তৃণমূল নেতাদের নাম কোনভাবেই BLO তালিকায় রাখা যাবে না বলে দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।যদিও এ ঘটনায় প্রশাসনের বক্তব্য অভিযোগ পেয়েছি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিষয়ে বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি শংকর গুছাইত বলেন,”আমাদের রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বারে বারে সরব হয়েছেন এই BLO এর নামের তালিকায় শাসক দলের নেতাদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে। আমাদের খোদ মেদিনীপুর শহরেও এরকম দাপুটে তৃণমূল নেতার নাম অন্তর্ভুক্ত।যার ফলে এরা দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে,ছাপ্পা ভোট দিয়ে ভোটে জিতে আসছে।তাই আমরা জেলা শাসক ও সদর মহকুমা শাসকের কাছে অনুরোধ করব তারা যেন এই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের নাম বাদ দিয়ে স্বচ্ছ BLO তালিকা তৈরি করেন।

যদিও এ বিষয়ে এই তৃণমূল নেতা শংকর মাঝি বলেন,”সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি যে আমার বিএলও হওয়া নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে।তবে এখানে আমার কোন দোষ নেই।কারণ নির্বাচন কমিশন থেকে আমাকে BLO করা হয়েছে।দীর্ঘদিন থেকে যদিও আমি তৃণমূলের জেলা কমিটি সদস্য রয়েছি এবং একটি স্কুলে চাকরি করি। তবে আমি গত সপ্তাহেই আবেদন করেছি BLO এর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য।

যদিও এই বিষয় নিয়ে মেদিনীপুর সদরের মহকুমাশাসক মধুমিতা মুখার্জি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই একটি অভিযোগ পেয়েছি।অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কোনো রাজনৈতিক পদাধিকারী বিএলও তালিকায় থাকে তা বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে তাদের তরফে।