
মেদিনীপুর 3 রা অক্টোবর:
এসআইয়ের মধ্যেই এবার বাংলাদেশী ভোটার পাওয়া গেল মেদিনীপুর জুড়ে। মেদিনীপুরের এক নাম্বার ওয়ার্ডের হঠাৎ পল্লীতে হঠাৎই গড়ে ওঠে একটি হঠাৎ পল্লী নামক বাংলাদেশী পাড়া। বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশি মানুষ এবং তারা রাতারাতি গড়ে তোলে একটি সমাজ ও পরিবার। যদিও এসআইয়ের আতঙ্কে আতঙ্কিত তারা।তারা চাইছেন ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে। যদিও তাদের সাহায্যের আশ্বাস বিজেপি এবং তৃণমূলের।

SIR আবহয়ে মেদিনীপুরে এবার বাংলাদেশী পাড়ায় আতঙ্কে।মেদিনীপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের শেষ দিকে নাম হঠাৎ পল্লী। মেদিনীপুর শহরের এই হঠাৎ পল্লী এখন খবরের শিরোনামে।কারন ২০০২ সালের পর হঠাৎ গড়ে ওঠে এই এলাকা।এই পল্লীতে বসবাসকারী প্রায় সকলেই বাংলাদেশী। তাই SIR নিয়ে চিন্তিত এই এলাকার প্রায় ১৫০/২০০ ভোটার। কারন ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই বাংলাদেশ থেকে আগত কারোরই। তাই ভয় ভীতি রয়েছে হঠাৎ পল্লীর বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে তারা চান এখানেই থাকতে। তাই সরকারের কাছে তাদের আবেদন যেন তাদের দেওয়া হয় নাগরিকত্ব।এই এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা ১৯৯৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশের ভোলা জেলা থেকে দফায় দফায় আসতে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গে।এরপরই মেদিনীপুর শহরের ১ নং ওয়ার্ডের এই হঠাৎ পল্লীতে জায়গা কিনে তৈরী করে বাড়ি।

বর্তমানে সকলেই তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন এই হঠাৎ পল্লীতে।যদিও ২০০২ সালের পরে একে একে সকলের হয়েছে ভোটার কার্ড। নামও উঠেছে ভোটার তালিকায়। কিন্তু ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় উদ্বিগ্ন তারা। সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে,তা তারা মেনে নিতে বাধ্য বলেই জানিয়েছেন তারা।যদিও ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য।অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি।বিজেপির মতে ওই বাসিন্দাদের CAA এর আওতায় নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।তাদের আবেদন করার আহ্বান জানান।

এই বিষয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দা ননীগোপাল রায়,জগদীশ দাসরা বলেন,”আমরা বেশিরভাগ লোকই ২০১১ সালে আবার কেউ কেউ ২০০০ সালের পর এখানে চলে এসেছি বাংলাদেশে আমাদের উপর অত্যাচারের কারণে। আমরা হিলি সীমান্ত হয়ে ঢুকে পড়েছি দালালকে টাকা দিয়ে। যদিও পরে আমাদের ভোটার কার্ড হয়েছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতা আসার পর ২০১২ সালে। আমরা এখানে নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ বোধ করছি।আমাদের ছেলেমেয়ে রয়েছে। কিন্তু এসআই আর হচ্ছে এর জন্য একটা নিজেদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।তবে আমরা নিজেদের ভারতীয় মনে করি আমরা এখানেই থাকতে চাই।”

এ বিষয়ে স্থানীয় মেদিনীপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলার অনিমা সাহা বলেন,”যে ঘটনা কথা আপনারা বলছেন তা আমার ওয়ার্ডেই তবে ওরা সবাই বাংলাদেশী না।উনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা পাশের জেলা রাজ্য থেকেই এখানে এসে বসবাস করছেন দীর্ঘদিন।তবে বেশ কিছু মানুষ বাংলাদেশী আছেন।যারা অনেক দেরি করে এসেছেন এবং ওনার থাকেন যেহেতু ওখানে জায়গা জমি ছিল প্রচুর তাই তারা এগুলো কিনে ঘরবাড়ি করেছেন।আমরা সেগুলো খতিয়ে দেখছি এবং যাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে তাদের আমরা দেব সঙ্গে SIR এর ফর্মটা পূরণ করার জন্য আবেদন করতে হবে।”

অন্যদিকে বিজেপি নেতা তথা জেলা সহ সভাপতি শংকর গুছাইত বলেন,”মেদিনীপুরে একটি ঘটনা ঘটছে যেখানে দেখলাম তারা আতঙ্কিত SIR নিয়ে।তাদের আমরা বলতে চাই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই।এই পাড়ার লোকজন CAA এর অধীনে আবেদন করতে পারে,তাহলে তারা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবে।কারণ আমদের কেন্দ্রীয় সরকার কিছুদিন আগে CAA ঘোষণা করেছে যেখানে তার অধীনে ভিন্ন দেশের হিন্দুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।”