Kolkata: নবান্নে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বৈঠকে নিরাপত্তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর!বিরোধীদের চক্রান্ত কিনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ

Share

ফেসবুক থেকে নেওয়া চিত্র

কলকাতা 25 সে অক্টোবর:

একের পর এক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ঘটনা ঘটায় প্রকাশ্য বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।তিনি মুখ্যমন্ত্রী,তাঁর হাতে আরও যে যে দফতর রয়েছে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্য। সেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেই কেন বারংবার এত ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে প্রকাশ্য বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।একটি ক্ষেত্রে পর পর ঘটনায় বিরোধীদের ‘চক্রান্ত’ রয়েছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে টানা একের পর এক ঘটনা ঘটায় রীতি মতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের এক বৈঠকে তিনি ভার্চুয়ালি যোগ দেন এবং সেখানেই তিনি এই উষ্মা প্রকাশ করেন।সম্প্রতি উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহ এবং এসএসকেএম হাসপাতালে নাবালিকা রোগিণীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।আরজি করের পরে পিঠোপিঠি সময়ে এই দুই ঘটনা ফের সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
সেই সূত্রেই শনিবার নবান্নে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।নবান্ন দ্বারা সংবাদ প্রকাশিত সূত্রে জানা গিয়েছে,কালীঘাটের বাড়ি থেকে মুখ্যসচিবের ফোন মারফত বৈঠকে ‘ভার্চুয়ালি’ যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে আহূত ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার। ছিলেন রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং সমস্ত পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারেরা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাও যোগ দিয়েছিলেন বৈঠকে। ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকেরাও।এই
বৈঠকে বিভিন্ন হাসপাতালের সিসিটিভি ‘মনিটরিং’ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা। সংবাদ সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন,কোন হাসপাতালে কত সিসিটিভি অকেজো, তা ঠিক করতে আনুমানিক কত খরচ হতে পারে,তার খসড়া প্রস্তাব করে রাজ্য সরকারকে জানাতে। যে সিসিটিভিগুলি কাজ করছে, তাতেও ঠিকঠাক নজরদারি চালানো হয় কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণেরও বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

সেই সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের যাতে সচিত্র পরিচয়পত্র থাকে, তা-ও সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।বিভিন্ন হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। তাদের পোাশাক এক রকম। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে জানিয়েছেন, ওই ধরনের পোশাক বাইরেও কিনতে পাওয়া যায়। তাই সচিত্র পরিচয়পত্র গুরুত্বপূর্ণ।প্রসঙ্গত,এসএসকেএম হাসপাতালের ঘটনায় যিনি অভিযুক্ত তিনি অন্য একটি সরকারি হাসপাতালের অস্থায়ী নিরাপত্তাকর্মী। শিয়ালদহ চত্বরের সেই হাসপাতাল থেকে তিনি কী ভাবে এসএসকেএমে গেলেন, কেন তা সংশ্লিষ্ট সকলের নজর এড়িয়ে গেল,সেই প্রশ্নও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, এক হাসপাতালের কর্মী যাতে অন্য হাসপাতালে মর্জিমতো প্রবেশের অধিকার না-পান, তা-ও কঠোর ভাবে নজর রাখার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বৈঠকে জেলা প্রশাসনগুলির উদ্দেশে মুখ্যসচিব ছ’টি নির্দেশিকা দিয়েছেন। যার মধ্যে, নিরাপত্তাকর্মীদের পুলিশ যাচাই, হাজিরা খাতা সঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা, কাজের রস্টার তৈরি করা, স্বাস্থ্য ভবনে দৈনিক রিপোর্ট পাঠানোর বিষয় রয়েছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বৈঠকে পুলিশকর্তাদের ডেকে নেওয়াকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন প্রশাসনিক মহলের অনেকে। কারণ, পর পর ঘটনাগুলি যতটা না স্বাস্থ্যসংক্রান্ত, তার চেয়েও বেশি নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত। এর ফলে স্বাস্থ্য দপ্তরগুলিকে কঠোর নিরাপত্তার আওতায় আনার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী বলেই সূত্রে জানা গিয়েছে।



Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in