
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
অভাবের সংসারের টানাটানিতেও দেরাদুন পাড়ি দিচ্ছে মেদিনীপুরের রাঙ্গামাটি হামাল পাড়ার ছোট্ট প্রীতম। দু বছরের অধ্যাবসায় অবশেষে আন্তর্জাতিক স্তরে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় যোগ দিচ্ছে এই প্রীতম।দীর্ঘ দু বছরের লড়াইয়ে ঝুলিতে ১৪ টি গোল্ড একটি ব্রোঞ্জ।

মেদিনীপুরের ছেলে প্রীতম ঘোষ।সারদা বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। দুই ভাই বাবা মাকে নিয়ে সংসার।আর্থিক অসচ্ছলতায়ও সত্ত্বেও ঝুলিতে ১৪ টি গোল তাও আবার ক্যারাটের কুমিতে। প্রথমে ডিস্ট্রিক্ট লেভেল,এরপর স্টেট লেভেল এরই সঙ্গে ন্যাশনালে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে এই ছোট্ট প্রীতম।বছর দুয়েকের অধ্যাবসায় নজর কাড়া সাফল্য তার।যদিও আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া সংসারের টানাটানির মধ্যে প্রীতম এগিয়ে চলেছে তার লক্ষ্যে।সংসারের হাল ধরেছে বাবা তাও আবার বাইরে থাকার সুবাদেও রাত দিন পরিশ্রম করে প্রিতমের স্বপ্নপূরণের চেষ্টা।তবুও থেমে থাকে নি প্রীতম।যদিও পরিবারের যাতায়াতের ট্রেনের টিকিটের ভাড়া সংগ্রহ করে উঠতে পারেনি সে।স্যারেদের এবং নিজের পরিবার-পরিজনের সাহায্যে ন্যাশনালে অংশগ্রহণে উৎসাহী এই খুদে প্রীতম।আগামী জুন মাসে দেরাদুনে অনুষ্ঠিত হওয়া Kio sub junior cadet & junior dehradun কম্পিটিশনে অংশ নেবে।ইতিমধ্যে প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।এই প্রীতমের সঙ্গে যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পাঁচ প্রতিযোগী অংশ নেবে এই প্রতিযোগিতায়।এই প্রতিযোগীর ইচ্ছে ন্যাশনালে জিতে এসে জেলার এবং পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করা।

এ বিষয়ে খুদে প্রীতম বলে,”ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল এই ক্যারাটে কম্পিটিশনে অংশ নেওয়া।এখন রাসবিহারী স্যারের তত্ত্বাবধানে কাজ করে চলেছি,প্রায় ১৪ টি গোল্ড পেয়েছি একটি ব্রোঞ্জ।ইচ্ছে এই ন্যাশনালে অংশগ্রহণ করে গোল্ড মেডেল পাওয়া।পারিবারিক সমস্যা রয়েছে তাই আর্থিক সাহায্য দিক থেকে আমি পিছিয়ে রয়েছি। কেউ পাশে দাঁড়ালে খুব খুশি হতাম।”

প্রীতমের মা মিনতি ঘোষ বলেন,”ছেলে আমার ট্যালেন্টেড।বহু কষ্ট করে অধ্যাবসায় আজকে এই জায়গায় পৌঁছেছে কিন্তু আর্থিক দিক দিয়ে আমরা পিছিয়ে পড়েছি।আমরা গার্জেন হিসেবে ওর সঙ্গে টাকার অভাবে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারি না।আমরা চাই সহৃদয় মানুষ এগিয়ে আসুক ওর স্বপ্ন পূরণে।”