
সাহেব পুকুর চক 20 ই অক্টোবর:
শহরে ভৌতিক হাভেলি, ভূতেদের দৌরাত্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে দর্শকরা।পাটনা বাজার সাহেব পুকুর চকের নিউ মঙ্গল দ্বীপ জলকালীর ৩০ বছরে ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভৌতিক হাভেলী নজর কাড়ছে জেলায়।ক্লাবের বার্তা সেই সব অভিভাবকদের যাদের বাচ্চা মোবাইল নিয়ে ব্যতিব্যস্ত করে তুলে,যাদের কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না,তাদের এই মন্ডপে নিয়ে আসুন।তাদের শায়েস্তা আমাদের ভূত করবে।

বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি শিশুদের বাড়ছে মোবাইল দেখার প্রবণতা।আর সেই বাচ্চাদের মোবাইল ছাড়াতে হিমসিম খাচ্ছে তার মা বাবা।এছাড়াও নানা বাহানায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে তারা আত্মীয় স্বজনেরা।এই পরিস্থিতিতে সেই অভিভাবকদের বাচ্চাদের মন্ডপে আনার আহ্বান মন্ডপ কর্তাদের।তাদের এও বার্তা তাদের মণ্ডপ ভৌতিক হাভেলির ভূতেরা সেই সব বাচ্চাদের অতিষ্ঠ করে তুলবে।মূলত মেদিনীপুর শহরের এক অন্যতম পুজো হলো পাটনা বাজার সাহেব পুকুর চকের নিউ মঙ্গল দ্বীপ জলকালীর পুজো।এই কালী পুজো এই বছর ৩০ বছরে পদার্পণ করলো।প্রতি বছর এই ক্লাব নতুন নতুন থিমের মন্ডপ করে আসছে।গত বছর ছিল আদিযোগী থিম।এবার ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তাদের থিম ভৌতিক হাভেলি।এই হাভেলিতে থাকছে এক ও একাধিক ভূত।

কেউ হাত ছড়িয়ে,কেউ বা উল্টো মাথা করে,কেউ বা শুধু ওপর থেকে লম্ফ ঝম্প করছে। এছাড়া জলজ্যান্ত ভূত হয়তো সরাসরি ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।এর সঙ্গে থাকছে ভূতের সাউন্ড সিস্টেম।যার ফলে মণ্ডপে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে শরীর ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে দর্শকদের।তাই এই থিম নিয়ে বিশাল উৎসাহী ক্লাবের সদস্যরা।

এই নিয়ে ক্লাব কর্তা পৃথ্বীরাজ প্রামাণিক বলেন, “আমাদের ক্লাব প্রতি বছর নতুন নতুন থিমের উপহার দিয়ে আসছে।এই বছর আমাদের থিম ভৌতিক হাভেলি।যার উদ্দেশ্যেই হলো মোবাইল আসক্ত বাচ্চাদের শায়েস্তা করা।কারণ এইসব বাচ্চারা তাদের অভিভাবকদের সারাদিন বাহানা দিয়ে বিরক্ত করে তোলে।যার ফলে দিশাহারা হয়ে যায় তাদের মা বাবা।

আমরা সেইসব অভিভাবকদের বলতে চাই আপনারা আপনাদের বাচ্চাদের আমাদের মন্ডপে নিয়ে আসুন।দেখুন আপনাদের বাচ্চাদের বিরক্ত করে তুলবে আমাদের মণ্ডপের ভূতেরা।আমাদের মেসেজ হলো সমাজের জন্য ভালো কিছু বার্তা।