
নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশিয়াড়ি:
সরকারি হাসপাতালের বেডে শুয়ে রুগী হাসপাতালে নেই স্যালাইন।বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে স্যালাইন রুগীর পরিজনদের।রুগী ভোগান্তিতে রুগীর পরিবার থেকে সাধারণ মানুষ।এই যন্ত্রণার সুরাহা হবে কবে প্রশ্ন এখন এটাই !

প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে রাজ্য জুড়ে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে মিলছে না NS স্যালাইনের মতো স্যালাইনের সঠিক পরিষেবা।যার ফলে শহরাঞ্চলে যার প্রভাব না পড়লেও অসহায় অবস্থায় ভুগছে গ্রাম বাংলার মানুষজন।মূলত মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্যালাইন কাণ্ডের পরে সমস্ত সরকারি হাসপাতালে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফার্মাসিস্ট কোম্পানির স্যালাইন বন্ধের নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য সরকার।তবে সরকারি গ্ৰামীন হাসপাতাল গুলোতে এই মুহূর্তে মজুত নেই NS স্যালাইন।যার ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীর পরিজনেরা।ঠিক তেমনই ছবি উঠে এলো কেশিয়াড়িতে। মূলত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রায় ৬০ শতাংশ আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা।এই কেশিয়াড়ি ব্লকের গ্রামীণ হাসপাতালে চিত্রটা ঠিক এমনই।

কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রায় একমাসেরও বেশি সময় ধরে NS স্যালাইনের পরিষেবা সরকারি হাসপাতাল দিতে পারেনি, রোগী ভর্তি হলে বাইরের কোন মেডিক্যাল থেকে এই স্যালাইন কিনে আনতে হয় রোগীর পরিবারের লোকেদের কিনে আনার নির্দেশও দেন হাসপাতালের ডাক্তারবাবুরাই।এমনটাই জানাচ্ছে রোগীর পরিবারেরা।তবে স্যালাইন বাইরে থেকে কিনে আনার প্রভাব শহরাঞ্চলে খুব একটা না পড়লেও গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে এর প্রভাব পড়েছে।কারণ আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা এই এলাকার মানুষ বেশিরভাগটাই নির্ভর করে থাকেন সরকারি কেশিয়াড়ি গ্রামীন হাসপাতালে উপর। ফ্রিতে পরিষেবা পাবেন বলে ছুটে যান সরকারি হাসপাতালে।কিন্তু যখন হাসপাতালে গিয়ে রুগীর পরিবারকে ছটা-আটটা করে স্যালাইন বাইরে থেকে কিনে চিকিৎসা করাতে হয় তখনই ভোগান্তিতে পরিবারের লোকেরা।

হাসপাতালের BMOH অর্পন নায়েক জানান সরকারের তরফ থেকে এখনো স্যালাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়নি।তাই রোগীর পরিবারদের বাইরে থেকে নিয়ে আসতে বলা হয়।তবে প্রশ্ন একটাই অর্থের অভাবে যেখানে সাধারণ মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবাটা বিনামূল্যে পাবেন বলে তারা ভরসা করেন সরকারের গ্রামীণ হাসপাতাল গুলোকে সেখানেই যখন তাদের কয়েকশো ,কয়েক হাজার টাকা খরচ করে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনতে হয় তখন তাদের সরকারের হাসপাতালে এসে ভুগতে হয়।

তবে কবে এর সুরাহা মিলবে এখন প্রশ্ন সেটাই তুলছেন সাধারণ মানুষ ,সাধারণ রুগীর পরিবারেরা,প্রশ্ন তুলব আমরা।