Student Death:যাদবপুর পড়ুয়ার চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ!শোকের ছায়া পরিবারে,কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

Share

মেদিনীপুর 29 সে অক্টোবর:

যাদবপুর পড়ুয়ার চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ,পড়ুয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবারের মধ্যে। যদিও অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় বডি না পাওয়ায় অবশেষে বুধবার সকালেই ভেসে উঠল দেহ। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক অনুমান মানসিক অবসাদের জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে এই পড়ুয়া।

কলকাতা থেকে ফেরার পথে মায়ের অনুপস্থিতে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হল এক পড়ুয়ার যা নিয়ে চাঞ্চল্য মেদিনীপুরে।পরিবার সূত্রে জানা যায় এদিন যাদবপুর থেকে ট্রেনে করে বাড়ি ফিরছিলেন বাঁকুড়ার সোহম পাত্র।বয়স একুশের এই সোহম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বিটেক পড়ুয়া।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাওড়া থেকে রানী শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে মা ও ছেলে ফেরার সময় মেদিনীপুর স্টেশনের কাছে কাঁসাই হল্টের কাছে মা বাথরুম যাওয়ার সময় ছেলে ঝাঁপ মেরে দেয় নদীতে। যদিও তারপর তার মা বুঝতে পারলে তিনি পরের স্টেশন মেদিনীপুরে এসে ঘটনার জানান রেল পুলিশকে। এরপরই রাতেই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি কিন্তু অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় কোন রকমই তার দেহের হদিশ পাওয়া যায় না। এরপর সকাল হতেই এক প্রস্থ খোঁজাখুঁজি করতেই দেখা যায় সোহমের মৃতদেহ ভেসে উঠেছে নদীতে।

যা নিয়ে শোকের আবহাওয়া পরিবারের মধ্যে। মৃত সোহমের বাবা দীপক পাত্র এবং মা মল্লিকা পাত্রের বাড়ি বাঁকুড়া জেলার ১৫ নং ওয়ার্ডের প্রণবানন্দপুর।সকালেই সোহমের বাবা দৌড়ে আসেন ছেলেকে খুঁজতে। মৃতদেহ পাওয়া পরই ভেঙে পড়ে পরিবার। তবে সঠিক কি কারণে সোহম এই ঘটনা ঘটালো তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না পরিবার। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসিক অবসাদের কারণে সোহমের এই সিদ্ধান্ত।যদিও রাতেই পরিবার ও রেল পুলিশের আধিকারিকরা ব্যাপক খোঁজাখুঁজি চালানো হলেও দেহ মেলেনি। অবশেষে বুধবার সকালে কংসাবতী নদীতে ভেসে ওঠে সোহমের দেহ।এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেদিনীপুর খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ ও রেল পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য।

এই বিষয়ে সোহমের বাবা দীপক পাত্র বলেন,”ছেলে তার মায়ের সঙ্গেই হাওড়া থেকে ফিরছিল বাড়ির উদ্দেশ্যে। কিন্তু এই কাঁসাই হল্টের কাছে তার মা বাথরুম যাওয়ার সুযোগে সে ঝাঁপ মেরে দেয় নদীতে।যদিও তার মা বাথরুম থেকে ফিরে এলে পাশে বসে থাকা ব্যক্তি তাকে বিষয়টা জানায় এবং এই ঘটনায় রেল পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয় পরের স্টেশনে।

তবে কি কারণে সোহম এ ঘটনা ঘটালো তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছি না।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in