
নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর:
এবার মৃত্যু হল রীতম মন্ডলের।এইদিন ডি-২০১ রুম থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।যা নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য খড়গপুর আইটিতে।চলতি বছরে মোট ছাত্রের মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়ালো চার।

ফের খড়গপুর আইআইটিতে মেধাবী পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু,যা ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়ালো এই আইআইটিতে।মূলত এই দিন বেলা নাগাদ আইআইটি খড়্গপুরের রাজেন্দ্র প্রসাদ হলের ডি-২০১ নম্বর রুম থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।আইআইটি খড়্গপুর সূত্রে জানা গেছে মৃত পড়ুয়ার নাম রীতম মন্ডল (২১)।মেধাবী এই পড়ুয়া দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।বাবার নাম উত্তম মন্ডল।এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আইআইটি খড়্গপুর ক্যাম্পাসে।গত ৪ মে-র পর ১৮ জুলাই।এই নিয়ে চলতি বছরেই মৃত্যু হল চার পড়ুয়ার।জানা গেছে,শুক্রবার সকালে নিজের রুমের গেট না খোলায় ওই হলের অন্যান্য আবাসিকরা ম্যানেজমেন্টকে খবর দেয়।হল ম্যানেজার পুলিশকে জানালে,পুলিশ এসে দরজা খুলে দেখে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন পড়ুয়া।

গলায় গামছার ফাঁস! এরপরই দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।আইআইটি কর্তৃপক্ষের তরফে এই মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে এবং পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।জেলা পুলিশের এক আধিকারিক সূত্রে জানা গেছে “আইআইটি খড়্গপুরের এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে।”উল্লেখ্য,নবনিযুক্ত ডিরেক্টর অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তীর শত প্রচেষ্টাও বৃথা গেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,খড়গপুর আইআইটির ছাত্র-মৃত্যু অব্যাহত।২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে এখনও পর্যন্ত IIT খড়্গপুর ক্যাম্পাসে সাত জন পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।এর মধ্যে চলতি বছরেই এখনও পর্যন্ত চারজন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে ১২ জানুয়ারি সাওন মালিক,২০ এপ্রিল অনিকেত ওয়ালকার,গত ৪ মে মহম্মদ আসিফ কামার এবং আজ ১৮ জুলাই ঋতম মণ্ডলের। বলতে গেলে বলা যায় গত ২৩ জুন IIT-র নতুন ডিরেক্টর অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ক্যাম্পাসে ছাত্র মৃত্যু ঠেকাতে উদ্যোগ হোন।তিনি প্রথমেই জানিয়ে দেন যাতে ক্যাম্পাস আর কোন ছাত্র- মৃত্যু না হয় তার জন্য যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেওয়া হবে।

এক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে কোনও পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়ার জন্য নতুন একটি অ্যাপ চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।ওই অ্যাপের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সেতু’। এই মাসের শেষের দিকেই দিকে এই অ্যাপের উদ্বোধন হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে শুক্রবার IIT খড়্গপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। যার ফলে ফের নতুন করে দুশ্চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে খড়গপুর আই আই টির ভেতরে।