
ঝেঁতলা 13 ই সেপ্টেম্বর:
কেশপুর থেকে রিসার্চ করে ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কৃত!না আছে সঠিক ল্যাব না আছে তার পরিকাঠামো, তবুও অনুপযোগী এই ল্যাব পরিকাঠামোর মধ্যেই দীর্ঘ অধ্যাবসায় ইথানলের electrochemical sensing-nano particle modified electrode রিসার্চ এ পুরস্কৃত হলেন আন্তর্জাতিক স্তরে কেমিস্ট্রির শিক্ষক সুদীপ চক্রবর্তী।কেশপুরের মতন প্রত্যন্ত এলাকায় ঝেঁতলা শশীভূষণ হাই স্কুলের শিক্ষক হিসেবে আজ তিনি গর্বিত,গর্বিত পড়ুয়া সহ তার সহকর্মী শিক্ষক শিক্ষকেরা। তিনি জানালেন তার চিন্তা-ভাবনা তিনি পড়ুয়াদের মধ্যেই ব্যাপ্তি ঘটাতে চান।

কেশপুর একটি অজ পাড়া-গাঁয়ে স্কুলের শিক্ষকতা করেও ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে পুরস্কৃত হলেন মেদিনীপুরে সুদীপবাবু। মূলত কেশপুরের ঝেঁতলা শশীভূষণ হাই স্কুলে শিক্ষকতা করেন মেদিনীপুরের কেমিস্ট্রির শিক্ষক সুদীপ চক্রবর্তী। এই সুদীপবাবু দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন যার ঝুলিতে কুড়িখানা পাবলিস্ট বই রয়েছে।যেগুলি ব্যবহার করা হয় নবম দশম শ্রেণি, একাদশ দ্বাদশ শ্রেণি এমন কি সিবিএসসি বোর্ডে ও তার বই পাবলিস্ট হয়।তিনি একসঙ্গে কাজ করেছেন Oswal, রায় মার্টিন,পারুল প্রকাশনী এবং কথা কাহিনী সহ একাধিক পাবলিশার্সের সঙ্গে।এর আগে তিনি খড়্গপুর আইআইটিতে বিভিন্ন রিসার্চে অংশগ্রহণ করেছেন।তার রচিত ১২টি পেপার বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।

সেই সুদীপবাবু গত কয়েক বছর ধরে দীর্ঘ অধ্যবসায় তৈরি করলেন ইথানলের electrochemical sensing-nano particle modified electrode – যার দ্বারা শরীরে ইথাইল আছে কিনা অতি দ্রুত সনাক্ত করা সম্ভব।গত মার্চ মাসে তাকে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ রিসার্চ ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সাইন্স (IJRES) থেকে তার এই রিসার্চের জন্য সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। তা নিয়ে রীতিমত খুশির হাওয়া এই স্কুল পড়ুয়া শিক্ষক সহ মেদিনীপুর জুড়ে। তিনি চান তার এই রিসার্চ যেন আগামী দিনে বিপ্লব আনতে পারে গোটা বিশ্বজুড়ে।

এ বিষয়ে এই কেমিস্ট্রি শিক্ষক সুদীপ চক্রবর্তী বলেন,”আমার কাজই হলো ছাত্রদের মানুষের মত মানুষ তৈরি করা।তাই দীর্ঘ দিন ধরে এই স্কুলে থেকে ছাত্র তৈরি করার কাজ করে চলেছি।পর আমার লেখা বই যেমন বিভিন্ন স্কুলের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করেছে ঠিক তেমনি ক্যারিয়ার গাইডেন্স হিসেবেও প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া এরকম একটি স্কুল থেকে দীর্ঘ অধ্যবসায় তৈরি করেছি ইথানলের electrochemical sensing-nano particle modified electrode – যার দ্বারা শরীরে ইথাইল আছে কিনা অতি দ্রুত সনাক্ত করা সম্ভব।যা ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে পুরস্কৃত করা হয়েছে আমাকে।এই ক্ষেত্রে আমার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ আমার সহকর্মীরা ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে।

অন্যদিকে স্কুলের দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষক বিপ্লব পাল বলেন,” এই গ্রাম গঞ্জের সামান্য গণ্ডি থেকে যেভাবে উনি আন্তর্জাতিক স্তরের চিন্তাভাবনা করেছেন এবং রিসার্চ করে উনি পুরস্কৃত হয়েছেন তাতে আমরা গর্বিত। আমরা যতটুকু পেরেছি উনাকে সাহায্য করেছি তাছাড়া আমরা চাই উনি ওনার চিন্তাভাবনা আমাদের এই পড়ুয়াদের মধ্যে গড়ে তুলুক।”জার্নালে পুরস্কৃত হওয়ায় খুশির ম্যানেজিং কমিটি।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নবীন চন্দ্র জানা বলেন,” উনি যেভাবে প্রত্যন্ত স্কুলে থেকে এই ধরনের রিসার্চ তৈরি করেছেন তাতে আমরা গর্বিত।আমরা চাই উনি আরো এগিয়ে যাক, আরো ভালো ভালো রিসার্চ করুন জমা দিক।সেগুলো আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিক এটাই চাইবো।