
উত্তরপ্রদেশ 7 ই অক্টোবর:
যেন সিনেমার গল্প, রাতেই মানুষের রূপ ছেড়ে সাপের রূপ ধারণ করে নায়িকা। এরপর চলে তার শত্রুর বিরুদ্ধে আক্রমণ। এবার এরকমই এক ছবি বাস্তবে দেখা গেল। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের লোধাসা গ্রামের। মিরাজ তার অভিযোগ নিয়ে দ্বারস্থ হলেন জেলা শাসকের কাছে।

উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের লোধাসা গ্রামের বাসিন্দা
মিরাজের অভিযোগ মত রাত হলেই সাপে পরিণত হন তাঁর স্ত্রী।শুধু তাই নয়, রীতিমতো হিসহিসিয়ে, দাঁত কিড়মিড় করে তাঁকে কামড়াতে আসে তাকে। ভয়ে রাতে ঘুমোতে পর্যন্ত পারছেন না তিনি। এরপর বাধ্য হয়ে তিনি জেলা শাসক অভিষেক আনন্দের ‘সমাধান দিবস’ সেশন চলাকালীন সেখানে এসে স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তোলেন। মিরাজ বলেন,‘স্যর আমাকে বাঁচান। আমার বৌ রাত হলেই সাপে পরিণত হয়ে যায়। সাপের মতো হিসহিসিয়ে ওঠে। কাছে গেলেই দাঁত কিড়মিড়িয়ে মারতে আসে।’ একইসঙ্গে তাঁর দাবি, তাঁর স্ত্রী, নাসিমুন মানসিক ভাবে অসুস্থ। রাত হলে সে নিজেকে সাপ বলে দাবি করে ভয় দেখাতে চায় বলে অনুমান মীরাজের।বহুদিন ধরেই চলছে এই সমস্যা। এমন পরিস্থিতিতে রাতে স্ত্রীয়ের সঙ্গে এক ঘরে শুতে পর্যন্ত পারছেন না বলে জানিয়েছেন মীরাজ। তাঁর দাবি, প্রাণের ভয়ে ঘুম উড়েছে তাঁর।

ঘুমিয়ে পড়লে স্ত্রী যদি মারতে আসে এই ভয়ে রাতে দিনের পর দিন জেগে থাকতে হচ্ছে। এমন অবস্থা থেকে নিস্কৃতি চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তিনি কিন্তু স্থানীয় পুলিশ তাঁর অভিযোগে পাত্তা দেয়নি। তার পরেই বাধ্য হয়ে এই সমস্যার সমাধান চেয়ে জেলা শাসকের দ্বারস্থ হন অসহায় মীরাজ।লোধাসা গ্রামের বাসিন্দা মীরাজের বক্তব্য শুনে জেলাশাসক-সহ উপস্থিত সকলে হতভম্ব হয়ে যান। কিন্তু জেলাশাসক অভিষেক আনন্দ বিষয়টি উড়িয়ে না দিয়ে আধিকারিকদের খতিয়ে দেখতে বলেন। একইসঙ্গে স্থানীয় পুলিশকেও মীরাজের অভিযোগ নথিভুক্ত করে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন তিনি। এই নির্দেশ পাওয়া মাত্র অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ।

কতটা সত্যতা রয়েছে এই অভিযোগের তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।যদিও এ ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।এই ঘটনার সত্যতা কতটা তাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন।