নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
ফের বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে জেলার দুই শিশু কন্যা।বাপ মা হারা এই দুই শিশু কন্যার পেতে চলেছে তার নতুন বাবা-মাকে।তাই দুই বোন এখন খুশিতে ডগোমগো-এ রকমই ছবি এইদিন দেখা গেল মেদিনীপুর শহরের জেলা কালেক্টরেটে।
গোটা বিশ্বে ভারতবর্ষে এমন একটি দেশ যার জনসংখ্যা প্রায় দেড়শো কোটির ছুঁই ছুঁই।এই দেশের ভিন্ন রাজ্য এবং জেলায় বহু শিশু রয়েছে যারা বাবা-মা বিহীন।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিদ্যাসাগর বালিকা হোমেও এই ধরনের শিশু সংখ্যা অনেকই রয়েছে।এবার দুই শিশু কন্যার দায়িত্বভার নিতে চলছে বেলজিয়ামের দম্পতি।ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই আদিল মাসুদ,রাহিলা বানু বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বসবাস করে।পেশায় কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির কর্মী এই দম্পতি।বিয়ের দশ বছর অতিক্রান্ত হয়েও কোনো বাচ্চা না হওয়ায় অবশেষে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তারা।সেই মতো তারা অনলাইনের মাধ্যমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বালিকা হোমের সাথে যোগাযোগ করেন।সেই যোগাযোগ মোতাবেক বিদ্যাসাগর হোমের দুই শিশু কন্যা একজন অস্মিতা এবং নিকি যাদের বয়স পাঁচ বছরের ভেতরে তাদের দত্তক নেওয়া যাবতীয় কাগজপত্র পূরণ করেন।
ইতিমধ্যে সেই সমস্ত কিছুই কাগজপত্র প্রস্তুত হওয়ার পর এদিন জেলার কালেক্টরেটে পুরানো বিল্ডিং ADM কেম্পাহোন্নায়ার হাত ধরে এই দুই শিশু পেল তাদের মা বাবা কে।এই দুই শিশু গত দেড় বছর ধরে বিদ্যাসাগর বালিকা হোমে বড় হচ্ছিল।এদিন এই ছোট্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক, বেলজিয়ামের দম্পতি এবং বিদ্যাসাগর বালিকা হোম কর্তৃপক্ষ।
এদিন আদিল মাসুদ এই বেলজিয়ামের দম্পতি বলেন বিয়ের ১০ বছর হয়েছিল কিন্তু আমাদের কোন বাচ্চাকাচ্চা নেই।তাই আমরা দত্তক নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করি।বেলজিয়ামে বাচ্চা নিতে গেলে নানারকম ঝামেলা রয়েছে,তাই ভারত থেকেই আমরা এই দত্তক নেওয়ার আবেদন করেছিলাম অনলাইনের মাধ্যমে।যেহেতু একটা বাচ্চা নিলে তাকে বড় করা সমস্যা হতে পারে তাই দুই বোনকে একসাথে আমরা দত্তক নিলাম।ওরা ভবিষ্যতে যা হতে চায় তা সর্বদা আমরা পাশে থেকে সাহায্য করার চেষ্টা করব।
এদিন অতিরিক্ত জেলাশাসক কেম্পাহোন্নায়া বলেন এটা একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং ফর্মালিটি পূরণ করে এই শিশু বেলজিয়াম যাচ্ছে।এই নিয়ে জেলায় ৪৫টি শিশু বিদেশ গেল।বিদ্যাসাগর হোমে এখনো ছটি শিশু রয়েছে যারা বাইরে যাবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।আমরা ওই বাপ মা হারা শিশুদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল কামনা করি।