Burishol Accident: ব্যাংক থেকে ঘরে ফেরা হলো না দম্পতির!বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে গাড়িতে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,ভাদুতলা :

বাসের সঙ্গে চার চাকার মুখোমুখি সংঘর্ষে পুড়ে গেল একই পরিবারের দুজন। এরকমই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সম্মুখীন শালবনী থানার বুড়িশোল এলাকা।সূত্র অনুযায়ী ব্যাংক থাকে স্বামীর সঙ্গে ফেরার পথে বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গাড়িতে আগুন লেগে যাওয়ায় গাড়ি থেকে বের হতে পারেনি এই দম্পতি।আর তাতেই পুড়ে ছাই দেহ।

ভয়ংকর দুর্ঘটনা ভাদুতলা সংলগ্ন বুড়িশোল এলাকায়। একটি বাসের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে গাড়িতেই পুড়ে গেল এক মহিলা এক পুরুষ।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকা জুড়ে। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী জানা যায় মেদিনীপুর শহরের মিত্র কম্পাউন্ড এলাকায় বাড়ি অবসর প্রাপ্ত PNB ব্যাংক কর্মী প্রদীপ রায়।প্রদীপ রায়ের(৬২) স্ত্রী স্বপ্না রায়(৫৬)শালবনির পিড়াকাটার একটি ব্যাংকে চাকরি করতেন। স্ত্রী কে প্রতিদিনই আনতে যেতো তার বাড়ি থেকে প্রদীপবাবু অথবা গাড়ির ড্রাইভার।এই দিনও স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন প্রদীপবাবু। কিন্তু পথের মধ্যে এই ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে যায়।সেই সময় অপরদিকে মেদিনীপুর থেকে পিড়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া একটি বাসের সঙ্গে শালবনি থানার ভাদুতলার বুড়িশোল জঙ্গলের কাছে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে।সেই সংঘর্ষে চার চাকাটিকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় বাসটি।

এই টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় সেই সংঘর্ষে আগুন লেগে প্রাইভেট কারে।এই ঘটনায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং গাড়ি থেকে না বের হতে পেরে ওই গাড়িতেই পুড়ে যায় এই দম্পতি।এই ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা দৌড়ে আসে। ছুটে আসে পুলিশ প্রশাসন এবং ফায়ার ব্রিগেড।এরপর তারা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।কিন্তু তার আগেই গোটা গাড়ি পুড়ে যায় এই দুর্ঘটনায়।এই মৃত দম্পতির একটি রশ্মি রায় নামে একজন মেয়ে রয়েছে যিনি চাঙ্গুয়ালে ডাক্তারি করেন। এই ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালের মর্গে দৌড়ে এসেছেন মেয়ে। বারবার শোকে বিহুল হয়ে পড়ছে মেয়ে রশ্মি। যদিও তাকে সান্ত্বনা দিতে পাশে দাঁড়িয়েছে আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশী স্থানীয় কাউন্সিলার সহ পাড়া-প্রতিবেশীরা।

যদিও এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় এবং সেই যানজট সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রশাসন।এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। ফরেনসিক রিপোর্ট এলেই আসল কারণ বোঝা যাবে।


Share

dnews.in