Khargapur IIT:ফের ছাত্র মৃত্যু খড়্গপুর IIT তে! IIT তে কেন ঘন ঘন ছাত্র মৃত্যু ঘটছে,সংসদে প্রশ্ন তুলব জানালেন সাংসদ

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর:

বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক ছাত্রের।প্রতিবছর এক এক করে ছাত্র চলে যাচ্ছে অকালে।ফের আইআইটির ছাত্র মৃত্যু নিয়ে উসকে দিল প্রশ্ন। খড়গপুর IIT তে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শাওন মল্লিকের।ময়নাতদন্ত করে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।অন্যদিকে এই ঘটনায় সংসদে প্রশ্ন তোলার মন্তব্য মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়ার।

আবার এক অস্বাভাবিক ছাত্র মৃত্যু ঘটলো জেলা রাজ্যসহ দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খড়্গপুর আইআইটিতে।মৃত ছাত্রের নাম শাওন মল্লিক (২১),সে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।এই শাওন থাকতেন খড়্গপুর আইআইটির আজাদ হলের ৩০২ নম্বর রুমে। সূত্রের খবর রবিবার সকালেই রুমের ভেতর থেকেই তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।তিন বছর ধরে এখানে পড়ছেন তিনি। রবিবার ছুটির দিনে তার বাবা-মা তার সঙ্গে দেখা করতে আসায় তারা এই দেহটি প্রথম দেখতে পান। এরপর খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন,ছুটে আসে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ প্রশাসন।এরপর দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।গতকাল রবিবার সন্ধ্যের সময় তার ময়নাতদন্ত হয়।রাতে তার নিজের বাড়িতে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়।

এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে খড়গপুর আইআইটি থেকে এক বিবৃতি মাধ্যমে বলা হয় খবর পেয়েই মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে আমাদের।সেইসঙ্গে আমরা সব রকম সাহায্য করবো।তবে যতক্ষণ না ময়না তদন্ত হয় তখন কিছু মন্তব্য করা ঠিক না। তবে পরপর কেন আত্মহত্যা ঘটে চলেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছি ইতিমধ্যে।উল্লেখ্য,গত ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর অসমের তিনসুকিয়ার ফয়জান আহমেদের রহস্যমৃত্যু ঘটে।একবার ময়নাতদন্তের পর আবার ময়না তদন্ত হয়।তারপরও তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে আজও ধোঁয়াশা।পরের বছর ২০২৩ সালে অক্টোবরে কিরণ চন্দ্রা নামে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয় এই খড়গপুর আইআইটি তে।

গতবছর ২০২৪ সালের জুন মাসে দেবিকা পিল্লাই নামে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় এই আইআই টি তে।বায়োটেকনোলজি ও বায়ো সায়েন্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন এই দেবিকা।তবে আত্মহত্যা না খুন,তা খুঁজে দেখছে পুলিশ।

উল্লেখ্য এই শাওনের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার খুকুড়দহ এলাকায়। শাওন ভদ্র নিরীহ ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিল IIT তে। সকল শিক্ষকের প্রিয় শাওন নাটক করতে ভালোবাসতো।এদিন ঘটনা চক্রে শাওনের পছন্দের খাবার রান্না করেই নিয়ে এসেছিল তার বাবা-মা। যদিও শেষ ইচ্ছা পূরণ হলো না শাওনের।এদিন মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর তার দাসপুরে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।এরপর রওনা দেওয়া হয় কলকাতার উদ্দেশ্যে।

যদিও এই নিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া। তিনি এই দিন মেদিনীপুরে এসেছিলেন কিছু অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অসুস্থ প্রসূতিদের দেখতে।এরপর তাকে সাংবাদিকরা আই আই টির ছাত্র মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,”আমি একজন ছেলের মা,একটি ছেলেকে দুঃখ হারানোর দুঃখ-কষ্ট বুঝি।এই ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক।তবে এর একটা প্রপার তদন্তের দরকার রয়েছে।আই আই টির ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন ওনাদের নিজস্ব কমিটি রয়েছে এবং সেটা সেন্টাল গভমেন্ট দেখে। বারবার মৃত্যুর জন্য ওনাদের একটি কমিটি পাঠানো উচিত।এরই পাশাপাশি তিনি বলেন আমি সুযোগ পেলে লোকসভায় এই ঘনঘন ছাত্র মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলব।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in