IIT Student Death:আই আই টি স্টুডেন্ট মৃত্যুতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের দল!সুসাইড না পরিকল্পনা ,তা দেখতে বস্তা ঝুলিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়্গপুর:

খড়গপুর আইআইটি র ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র শাওন মালিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা।যদিও এই ঘটনায় জোর কদমে তদন্ত চালাচ্ছে প্রশাসন।এইদিন IIT তে এলো ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।আমলার ছেলের রহস্য মৃত্যুতে বালির বস্তা ঝুলিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের।

একের পর এক খড়্গপুরে ছাত্র মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা জেলা শহর রাজ্য এবং দেশে।শুধুই কি সুসাইড না অন্য কোন কারন তা নিয়ে উঠছে এক ও একাধিক প্রশ্ন।এবার মৃত্যু ঘটেছে এক আমলার ছেলের যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়।শাওনের ওজন ছিল ৮০ কেজি। তাঁর সমপরিমাণ ওজনের বালির বস্তা, দড়ি দিয়ে বেঁধে জানালার রড থেকে ঝুলিয়ে দেখে নিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ডঃ চিত্তকর্ষক সরকার। সোমবার দুপুরে আইআইটি খড়্গপুরের আজাদ হলের তিনতলায় ৩০২ নম্বর রুমে গিয়ে খতিয়ে রাখা হলো সবকিছুই।মূলত রবিবার এই রুম থেকেই আইআইটি খড়্গপুরের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র শাওন মালিকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।শাওনের বাবা রাজ্যের এক মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক বা ব্যক্তিগত সচিব।

স্ত্রী-কে নিয়ে অন্যান্য রবিবারের মতোই গত পরশু সকাল ১১টা নাগাদ তিনি পৌঁছেছিলেন আইআইটি খড়্গপুরে। নিচে ভিজিটরস খাতায় সই করে তাঁরা সোজা চলে গিয়েছিলেন তিনতলায়,শাওনের রুমের সামনে। দরজা ভেতর থেকে লাগানো ছিল।এরপরই হোস্টেল সুপার সহ শাওনের সহপাঠী তথা ওই হোস্টেলের আবাসিকদের ডেকে দরজা খোলা হয়। তার পরি বাবা-মা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন মর্মান্তিক দৃশ্য! সোমবার বিকেল ৩টা নাগাদ সেই ঘটনাই তদন্তের এসেছিলেন এক সদস্যের ফরেন্সিক দল। তাঁর নির্দেশে, একটি বস্তাতে ৮০ কেজি বালি ভরে, ওপরে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় দড়ি। তারপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে প্রায় আধ ঘন্টা ধরে। যদিও বাইরে বেরিয়ে এসে এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি ডক্টর সরকার।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,এই শাওনের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার খুকুড়দহ এলাকায়। এই শাওনের বাবা স্বরূপ মালিক রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের আপ্ত সহায়ক।শাওন ছিল ভদ্র নিরীহ ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিল IIT তে। সকল শিক্ষকের প্রিয় শাওন নাটক করতে ভালোবাসতো।এদিন ঘটনা চক্রে শাওনের পছন্দের খাবার রান্না করেই নিয়ে এসেছিল তার বাবা-মা। যদিও শেষ ইচ্ছা পূরণ হলো না শাওনের।এদিন মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর তার দাসপুরে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।এরপর রওনা দেওয়া হয় কলকাতার উদ্দেশ্যে।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in