
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
নিজেদের স্কুলের পুজো এবার পুরোহিতকে দিয়ে নয় বরং নিজেই হাতে করলেন নবম শ্রেণীর ছাত্রী এরকমই এক ঘটনা স্বরস্বতী পুজোতে। যদিও এই ডিজিটাল যুগে এই ধরনের ভাবনা চিন্তাকে বাহবা দিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে সহপাঠীরা।এক নতুন পর্বের সূচনা স্কুলে।

একদিকে যখন আজকের দিনে প্লেন যুদ্ধ জাহাজ ওড়াচ্ছে মেয়েরা ঠিক অন্যদিকে আরেক বিরল ছবি ধরা পড়লোমেদিনীপুর শহর জেলাতে। এবার বাগদেবীর আরাধনার দিন পুজোর হাতেখড়ি হলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণের একটি বেসরকারি স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্রীর।নিজে স্বয়ং পুরোহিতের আসনে বসে পৌরহিত্যে হাতেখড়ি। পুজোর মন্ত্র উচ্চারণ থেকে পুজোপাঠ সেই সঙ্গে আরতি এক হাতেই সারলো এই পড়ুয়া। যা দেখে কিছুটা হতবাক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে বাকি সহপাঠীরা।মূলত তন্বী চক্রবর্তী নামে ওই ছাত্রী সোমবার স্কুলের পুজো করেন।তার মতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় সে। তবে একই সঙ্গে পুজোর আচার অনুষ্ঠানেও তার আগ্রহ। পুজো করতে চেয়ে সে নিজেই স্কুলকে জানিয়েছিল। কর্তৃপক্ষ তার ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে পুজো করার অনুমতি দেয়।

এই বসন্ত পঞ্চমীতে তার উচ্চারিত মন্ত্রেই বাগদেবীর আরাধনা হয় খড়্গপুরের ওই স্কুলে।তন্বী বলে, ‘পুজোর মন্ত্রোচ্চারণ থেকে হোম, অঞ্জলি, সবই খুব নিষ্ঠাভরে করেছি। ছোট থেকে বাড়িতে পুজোপাঠ দেখে অনেক কিছুই শিখেছি। খুব ইচ্ছা ছিল পুজো করব, নিজে মন্ত্র পড়ব। আমার স্কুলেই সেই ইচ্ছা পূরণ হলো।’ তন্বীর মা জানান, মেয়ে বাড়িতে পুজো করে। সরস্বতী পুজোর দিনও বাড়িতে পুজো সেরে স্কুলে গিয়েছে।

স্কুলের ডিরেক্টর আরণ্যক আচার্য জানান, পুজোর আগে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে মিটিং হয়। সেখানেই তন্বী নিজের ইচ্ছার কথা জানায়। তিনি জানান, মেয়েরা এখন মহাকাশে যাচ্ছেন। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক হচ্ছেন, আবার পৌরহিত্যও করছেন। সর্বত্র তাঁদের পদচারণ।

এ বার তাঁদের স্কুলেও সরস্বতী পুজোর সকালে স্কুলেরই এক ছাত্রীর হাত ধরে নতুন পর্বের সূচনা হলো।