
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
এবার মাইনরিটি সংগঠন খ্রিস্টানদের জমি দখলের অভিযোগ।শুধু জমি দখল নয় রাতারাতি সেই জমি প্রোমোটার কে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর সিপাই বাজার এলাকায়। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ খ্রিস্টান মানুষজন তারা জেলা প্রশাসনকে জানানোর পাশাপাশি দ্বারস্থ হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের কাছে।

মেদিনীপুর শহর ও জেলায় সিপাই বাজার সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে প্রায় এগারো একর জায়গা ব্যাপটিস্ট চার্চের নামে। এই ১১ একর জায়গার মধ্যে কিছু জায়গা ঘিরে তৈরি হয়েছে চার্চ এবং বাকি জায়গা ঘিরে পুরানো আমলের বাড়ি ঘর যেমন পড়ে রয়েছে রয়েছে এই মাইনরিটি মানুষজনের জায়গা।কিন্তু এই ব্যাপটিস্ট চার্চের লোকজনের অভিযোগ রাতারাতি তাদের সেই জায়গা বেশ কিছু দুষ্কৃতি তারা ভূমি দপ্তরের সহযোগিতায় বিক্রি করে দিয়েছে প্রোমোটারদের।রেকর্ডের পাশাপাশি ডিড হয়ে গিয়েছে সেই জায়গার।আর সেই জায়গা কিভাবে বিক্রি হল তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে তারা।তাদের বক্তব্য দেবত্ব সম্পত্তি বা এই মাইনোরিটির জায়গা কোনভাবেই বিক্রি করা যায় না।তা সত্বেও ভূমি দপ্তরের লোকজন কিভাবে রেকর্ড করলেন তা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে।

এরই পাশাপাশি এই মানুষজনের দাবি ওই দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে এসে হুমকি মারধর সেইসঙ্গে তাদের টাঙ্গানো ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলে দেয়।এই ঘটনায় আতঙ্কিত বলেও তারা আতঙ্ক প্রকাশ করেন।যা ঘিরে উত্তেজনা মেদিনীপুর শহরে জেলায়। যদিও এই ঘটনায় তারা মাদ্রাজ হাইকোর্টে দ্বারস্থ হলে কোর্ট রায় দেন এই ব্যাপটিস্ট চার্চের জায়গা কোনভাবেই বিক্রি করা যাবে না।তাহলে কিভাবে রাতারাতি আগেই রেকর্ড হয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।এই নিয়ে এই সম্প্রদায়ের মানুষজন পুলিশ,জেলাশাসক ভূমি দপ্তরের পাশাপাশি এবার দ্বারস্থ হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে।তাদের একটাই দাবি,অবিলম্বে তাদের এই মাইনোরিটি মানুষের জায়গা,যাতে প্রোমোটার বা কোন অসাধু ব্যক্তিদের হাতে না চলে যায় তার দেখভাল করা।

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তারই যাবতীয় তথ্য তুলে দেন এই চার্চের মানুষজন।এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্যাপটিস্ট চার্চের সেক্রেটারি পীযূষ কান্তি ঘোষ, সভাপতি মনোজ্যোতি ভকত,কোষাধ্যক্ষ রনজয় ডেভিড মন্ডল,সদস্য তুহিন কুমার দে,মনিরাজ সিং সহ অন্যান্যরা।

এ বিষয়ে এই চার্চ সম্পাদক পীযূষ কান্তি ঘোষ বলেন,”আমরা অবাক চোখে দেখলাম আমাদের মাইনোরিটির জমিও রাতারাতি দখলে চলে গেল প্রোমোটারদের।কিছু দুষ্কৃতী রাতের অন্ধকারে নিয়ে আমাদের হুমকি দিচ্ছে।আমরা আমাদের এই সম্পত্তি নিয়ে কোর্টের রায় ও পেয়েছি।যে রায়ে কোর্ট বলেছে এই সম্পত্তি আমাদের।তারপরও কিভাবে এই সম্পত্তি বিক্রি হয়ে যায় রাতারাতি রেকর্ড হয়ে যায় তা আমাদের জানা নেই।আমরা আতঙ্কিত ভীত এবং আমরা চাইছি পুলিশ প্রশাসন সেইসঙ্গে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের বিষয়টা দেখুন।আমরা আমাদের জমিতে কোনোভাবেই প্রোমোটারি রাজ করতে দেব না। আমরা মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠাবো এবং অভিযোগ জানাবো।