নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
মেদিনীপুর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডে বছর পঞ্চাশের অনয় মাইতি।তিনি একজন সমাজসেবী হিসেবেই পরিচিত।মানুষের বিপদ দেখলে যেমন তিনি এক কথায় দৌড়ে যান তেমনি বছরের বারোটা মাসই কিছু না কিছু অনুষ্ঠান করে দুঃস্থ গরিব ওয়ার্ডের এবং মেদিনীপুরের মানুষদের সাহায্য করে যাচ্ছেন নিঃস্বার্থে।সম্প্রতি কয়েক বছর তিনি একটি সূচি নামক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট খুলেছেন এবং সেই ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে জেলার এবং জেলার বাইরে ভিন্ন রাজ্যেরও বহু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন নির্দ্বিধায়।
মূলত এই ইভেন্টে তার রান্নার কাজ,সার্ভের,ইভেন্টে মন্ডপ তৈরি করা থেকে লাইট লাগানো ও বিভিন্ন ধরনের নৃত্য,গানে সব ক্ষেত্রেই সরাসরি ছেলে মেয়ে কাজ করছে।সেসব ছেলে মেয়েদের তিনি জোগাড় করছেন কখনো জেলা থেকে কখনো বা জেলার বাইরে গিয়ে ভিন্ন রাজ্য থেকেও তুলে আনছেন। দিনের পাশাপাশি রাতের পর রাত যেমন তিনি নতুন নতুন ইভেন্টে কাজ করছেন তেমনি ইভেন্টের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান করে দিচ্ছেন।ফলে নতুন পথ দেখাচ্ছেন এই বছর পঞ্চাশের অনয় মাইতি।কে এই অনয় মাইতি!অনয় মাইতি হলো ও মেদিনীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কর্নেলগোলার একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী হিসেবে পরিচিত মুখ।যিনি আন্ডার গ্রাজুয়েট হয়ে খুব অল্প বয়স থেকেই এই সমাজসেবা চালিয়ে যাচ্ছেন।বিগত দিনে মহামারী কোভিডের সময়ও তিনি রাস্তায় রাস্তায় বেরিয়ে পুলিশ,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মী, সংবাদ মাধ্যমসহ জরুরী কাজে যুক্ত সকল মানুষদের মাস্ক,স্যানিটাইজার ফলমূল তুলে দিয়েছেন।কখনো কখনো আবার যখন কেউ কোভিড নামক মহামারী রোগীর পাশে দাঁড়ায় নি সেরকম রোগীদের তিনি সাহায্য করার জন্য নিজেই পিপি কিট পরে হাজির হয়েছেন।
এছাড়া তিনি যেমন দুঃস্থ অনাথ বিশেষ হ্যান্ডিক্যাপড মানুষদের পাশে থেকে নিজের জন্মদিন পালন করেন তেমনি আবার তাদের হুইলচেয়ার এম্বুলেন্স তুলে দিয়েও সমাজসেবা করে থাকেন।এখন তিনি এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে জেলা,ব্লক এবং জেলার ১৫ টি বিধানসভা সহ প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের মানুষদের নিয়ে এসে তার ট্যালেন্টের যোগ্যতা যেমন দিচ্ছেন তিনি দুমুঠো খাবার তুলে দিতে বদ্ধপরিকর এই অনয়। তার এই শতাধিক ইভেন্টে প্রায় কাজ পেয়েছে হাজার দশের বেকার ছেলে মেয়ে।এই মহামারী কোভিডের সময় তিনি সাহায্য করতে গিয়েই হার্টের রোগে আক্রান্ত হন এবং স্টেইন বসিয়ে আসেন চেন্নাই থেকে।শরীর অসুস্থ হয়ে সেবার কাজে থামাতে পারেনি অনয়কে।যদিও অনয় মাইতির এই সমাজ সেবামূলক কাজের পাশে দাঁড়িয়েছে তার পরিবার।তার স্ত্রী ছেলে-মেয়ে সবাই কুর্নিশ জানিয়েছে অনয়ের এই কাজে।
যদি এ বিষয়ে অনয় মাইতি বলেন মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে আমি খুবই খুশি। চাইবো সারা জীবন এই ভাবেই অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে থাকা।যার একান্তই প্রয়োজন তার পাশে থেকে সাহায্য করে নিজের জীবন উৎসর্গ করে যাব।