
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
ছাত্রছাত্রী,স্কলার্স থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের সমন্বয়ে মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিনিকেতনের পরিবেশে প্রথমবার আয়োজিত হল ফুড ফেস্টিভ্যাল।যেখানে স্ট্রিট ফুড ফুচকা থেকে শুরু করে বিরিয়ানি,নলেন গুড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের পিঠেপুলির পসরা সাজিয়ে বসেছিল ৩৭ টি স্টল।অন্যদিকে ফুড ফেস্টিভ্যাল প্রাঙ্গনেই চলছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার এক ভিন্ন পরিবেশ দেখা গেল মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।

এখন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় চলছে অল ইন্ডিয়া ইন্টার ইউনিভার্সিটি ওমেনস ফুটবল প্রতিযোগিতা।এই প্রতিযোগিতার অঙ্গ হিসেবে এইদিন ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হল মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে।এই বছর প্রথম এই ধরনের ফেস্টিভালের আয়োজন।এই ফেস্টিভালে অংশ নিল পড়ুয়ার সঙ্গে অংশ নিল শিক্ষক,শিক্ষিকা সহ সেলফ হেলফ গ্রুপের সদস্যরা।এই ক্যাম্পাসে মোট ৩৭ টি স্টল বসেছিল ছিল একদম ভেষজ খাবারের স্টল।এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি,ফিজিক্স,সাইন্স,বোটানি কম্পিউটার সায়েন্সের পড়ুয়ারা গ্রুপ করে করে এই স্টল বসিয়েছিলেন। যে স্টলে পসরা ছিল বিভিন্ন ধরনের পিঠেপুলি,পায়েস, ফুচকা,চুরমুর ঘুগনি,পোলাও চিকেন চাপ,বিরিয়ানি সহ ন্যাচারাল ভেষজ খাবারের বিভিন্ন স্টল।এছাড়া ছিল সাঁওতালি ডিপার্টমেন্ট থেকে পুরানো দিনের বিভিন্ন পিঠে পুলি ও সিমের নাড়ু ও মাংসের ঘুগনি লাটার স্টল।আর এই স্টল দেওয়াকে নিয়ে উন্মাদনা ছিল পড়ুয়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে।যদিও এই স্টল নিয়ে পুরস্কারের ব্যবস্থা করে ছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।এদিন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সুশান্ত চক্রবর্তী স্টল গুলোয় ঘুরে দেখেন খাবার চেখে দেখেন এবং প্রশংসা করেন।যদিও পড়ার জীবনে এই প্রথম ব্যবসায়িক কাজকর্ম যথেষ্ট উৎসাহী ছিল পড়ুয়ারা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে অল ইন্ডিয়া ইন্টার ইউনিভার্সিটি ওমেনস ফুটবল প্রতিযোগিতা। যার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে উদ্বোধন ঘটেছে গত ৮ই জানুয়ারি।যে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে বিভিন্ন রাজ্যের মোট ১৬ টি মহিলা ফুটবল দল।এই খেলাগুলি চলছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে এবং মেদিনীপুরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে।এরই সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশ নিচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া শিক্ষক শিক্ষিকা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
এই নিয়ে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী জানান,বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরণের ফেস্টিভ্যাল এই প্রথম।ফেস্টিভ্যালকে ঘিরে এদিন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায় ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অধ্যাপক অধ্যাপিকা সহ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত মানুষদের মধ্যে।ফেস্টিভ্যাল শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রায় প্রতিটি স্টলে দেখতে পাওয়া যায় খাদ্যপ্রিয়দের ভীড়।দেদার চলে কেনাবেচা। আমরা চাইছি পড়ার জীবনে তারা ব্যবসায়িক কাজকর্মের অনুভূতি অর্জন করুন এবং নিজেরা স্বাবলম্বী হোক।
