Hit The Market:জেলা শাসকের নির্দেশে বাজারে হানা আধিকারীদের!আলু,সবজির দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের কড়া নির্দেশ

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন দাম তো আছেই তার সঙ্গে একই বাজারেই আবার ভিন্ন ভিন্ন দাম শনিবার সকালে মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন সবজি বাজারে হানা দিয়ে এমনই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন জেলা প্রশাসন এবং DEB-র আধিকারিকরা।উল্লেখ্য যে,সবজি সহ আলু-পেঁয়াজ-আদা-রসুনের লাগামছাড়া ‘মূল্যবৃদ্ধি’ প্রতিরোধে শনিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী-র নির্দেশে জেলা প্রশাসন এবং জেলা পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ‘যৌথ টিম’ একাধিক দলে ভাগ হয়ে জেলা শহর মেদিনীপুরের বিভিন্ন বাজারে হানা।আর বাজারে হানা দিয়েই নানা অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হল অভিযানকারী দলের আধিকারিকদের।

মেদিনীপুর শহরের রাজাবাজার,স্কুল বাজার,গেট বাজার, কোতোয়ালী বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা দেখেন,আলু রাজাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা প্রতি কেজিতে।আবার গেট বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৫ টাকা প্রতি কেজিতে! আবার স্কুল বাজারে এর দাম ৩০ থেকে ৩২ টাকা প্রতি কেজি। পেঁয়াজ কোথাও ৪০ টাকা প্রতি কেজি, কোথাও আবার ৪২ কিংবা ৪৫। স্কুল বাজারের কোনও দোকানে আদা ২০০ টাকা প্রতি কেজি,কোনও দোকানে আবার ২২০টাকা প্রতি কেজি। রসুনের ক্ষেত্রে ওই একই বাজারে দাম ঘোরাফেরা করছে ২৫০ থেকে ৩০০টাকা প্রতি কেজি। লেবু কেউ নিচ্ছেন ১পিসের দাম ৩-টাকা, কেউ আবার বিক্রি করছেন ৫-টাকা করে। ফুলকপি কোথাও পিস প্রতি ৩০, কোথাও আবার ৪০ থেকে ৫০। দামের এই হের ফেরের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কড়া ধমক দিলেন আধিকারিকরা।আলু-পেঁয়াজ-আদা-রসুন সহ বিভিন্ন সবজির সঠিক দাম কত হওয়া উচিত তাও জানিয়ে দিলেন।কি কারণে দামের এই হেরফের, তাও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চান পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরাই জানালেন, তাঁরা পাইকার বা আড়ৎদার বা ফড়েদের কাছ থেকে যেমন দামে কেনেন, সেই ভাবেই বিক্রি করেন!অপরদিকে,গ্রামগঞ্জের কৃষকদের দাবি তাদের কাছ থেকে ন্যূনতম দামে সবজি কেনেন পাইকার কিংবা কিংবা ফড়েরা।

তাই, সবজি বা আলু-পেঁয়াজের দামের এত বেশি হেরফের হওয়া উচিত নয় বলেই জানান জেলা প্রশাসনের অভিযানকারী দলের সদস্যরা। একইসঙ্গে, এই বিষয়ে ব্যবসায়ীদের কড়া হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। জানানো হয়, আলুর দাম প্রতি কেজি ৩০ (জ্যোতি আলু) টাকার বেশি কোনোভাবেই নেওয়া যাবেনা। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে ৪০টাকা প্রতি কেজি দাম নিতে হবে। আদা ও রসুনের প্রতি কেজি দাম যথাক্রমে ২০০ ও ২৬০টাকার বেশি নেওয়া যাবেনা বলেও জেলা প্রশাসনের অভিযানকারী দলের নির্দেশ। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দারা জানান, “বাজার গেলেই পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সবজির সঙ্গে সঙ্গে আলু-পেঁয়াজ-আদা-রসুনের দামও লাগামছাড়া! অথচ, বর্ষাকালে জিনিসপত্রের দাম কম হওয়া উচিত। তবে, জেলা প্রশাসনের তরফে ধারাবাহিকভাবে এই ধরনের অভিযান চালালে কিছুটা হলেও মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব। এখন মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে দু’দিনের জন্য অভিযান হচ্ছে। তারপর তো আবার যে-কে-সেই!”


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in