Kartick Pujo 2023 : 37 বছর ধরে কার্তিক পুজো সিনহা বাড়ির!পূজোয় নৈবেদ্য ফলমূলের সঙ্গে কেক ও চকলেট

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :

এ কার্তিকের প্রতিবছরই বিসর্জন হয় আর তার জায়গায় অভিষিক্ত হয় নতুন কার্তিক।এভাবে বংশ পরম্পরায় ৩৭ বছরে পড়ল এই পুজো।ঠাকুর নয় দাদা হিসেবে পূজিত করে সিংহ পরিবার। সিবেলী ও ত্রিনেত্রীর সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন সদস্য লি।তাই জমজমাট কার্তিক পুজো বিধান নগরের সিনহা পরিবারে।

বিধান নগরে সিনহা বাড়ির কার্তিক পুজো হয়ে উঠলো জমজমাট। প্রায় ৩৭ বছরে ধরে এই কার্তিক পূজা করে আসছে সিনহা বাড়ির সদস্যরা।এই বছরও সেই পুজোয় মেতে উঠলো সিনহা বাড়ির সদস্যরা।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই সিনহা বাড়িতে পূজার সূচনা হয় বাড়ির বড় মেয়ের জন্মের আগে।সিনহা বাড়ির কর্তা দুর্গা প্রসাদ সিনহা ও মৈয়েত্রী সিনহার দাম্পত্য জীবনের চতুর্থ বছরে এক কার্তিক পূজার আগের রাতে বন্ধু-বান্ধবরা বাড়ির সামনে কার্তিক রেখে যান। সেই কার্তিককে ঘরে তুলে পূজোর সূচনা এই সিনহা বাড়ির।সাধারণত বাড়িতে ফেলে যাওয়া কার্তিক পরপর তিন বছর পুজো করার পর শেষ যায় কিন্তু সিংহ বাড়ির কার্তিক রীতিমতো দাদা হিসেবেই পূজিত হয়ে আসছে। চালু হওয়া সেই পূজা চলছে এখনো নিষ্ঠা সহকারে।গৃহে সন্তান জন্মানোর কামনায় এই বাড়িতে শুরু হওয়া কার্তিক পূজার “কার্তিক ঠাকুর”কে বাড়ির দুই বোন ত্রিনেত্রী ও ছোট বোন সিবেলী ‘বড় দাদা’ বলে মানেন।

এই পুজোর দিনে তাই ত্রিনেত্রী যেখানেই থাকুক ছুটে আসে তার মেদিনীপুরের বাড়িতে।এবারের পুজোয় তার দু বছরের মেয়ে লি কে নিয়ে হাজির বড় মেয়ে ত্রিনেত্রী ।মূলত যেখানে কার্তিক প্রতিমা কে বিসর্জন না দিয়ে গাছ তলায় রেখে দেওয়া হয় সেখানেএই বাড়ির কার্তিক বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিবছর।প্রতিবছরই নতুন কার্তিক কিনে আনা হয় মৃৎশিল্পালয় থেকে।আগে কার্তিক বড়োসড় হলেও বয়স জনিত কারণে এবং তোলার ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ায় কার্তিকের উচ্চতা কমিয়ে ফেলেছেন এই সিনহা পরিবার।প্রতিবারেই পূজায় ভীড় জমান আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীরা। দাদার পুজোতে বোন দিদিদের সঙ্গে হাত লাগান সিনহা পরিবার। কেউ ঝাঁঝ বাজায়,তো কেউ শঙ্খ,কেউ বা উলু দিয়ে দাদার পুজোর জমজমাট পালন করে থাকে এই দিনে।দাদার পুজোর নৈবেদ্য হিসাবে দেওয়া হয় ফলমূলের সঙ্গে কেক,চকলেট লাড্ডু।

এই বিষয়ে দুই বোন ত্রিনেত্রী মজুমদার(সিনহা) ও সিবেলি বলে আমরা কার্তিকের ঠাকুরের পূজো না করে বরং জন্মদিন পালন করি।আমাদের এই পুজোর প্রতিমা প্রতিবছরই বিসর্জন হয় এবং নতুন করে প্রতিবছর প্রতিমা নিয়ে আসা হয়।প্রতি বছর জাঁকজমক ভাবে আতশবাজি জ্বালিয়ে এই পুজো চলে আমাদের সারারাত।৩৭ বছরে পড়লো এই বছর পুজো।


Share

dnews.in