Postmortem Report: মামনির মৃত্যু সেপটিক শকের কারণে মাল্টি অর্গান ফেলিওর!পরি বারের দাবি রিপোর্ট পাইনি তবে অভিযোগ ছিল চিকিৎসার গাফিলতি

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

অভিযোগ ছিল আর এল স্যালাইন দেওয়ার,অভিযোগ ছিল চিকিৎসার গাফিলতি কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্টে সেপটিক শকের কারণে মাল্টি অর্গান ফেলিওরের কারণ দর্শানো হয়েছে।যা নিয়ে ক্ষুব্ধ মামনি রুইদাসের পরিবার।পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে না পেয়ে এই পরিবারের দাবি প্রশাসন থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক এই চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ডাক্তার এবং বাকি কর্মীদের।

রাজ্য রাজনীতিতে এখন শিরোনাম মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।একে একে করে পাঁচ প্রসুতি গুরুতর অসুস্থ আইসিইউ।পরে আইসিইউ থেকে কলকাতা ট্রান্সফার সেইসঙ্গে মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির মৃত্যু যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে মাল্টি অর্গানফেলিওর কথা বলা হয়েছে।এই অর্গান ফেলিওর হওয়ার কারণ সেপটিক শক বলে উল্লেখ করলেন চিকিৎসকেরা।যা নিয়ে ফের নতুন করে চাঞ্চল্য জেলায়।কারণ এই প্রসূতির অপারেশনে কিভাবে মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয় তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে!অপারেশন করতে গিয়ে তাহলে কি দেরি হয়েছিল না হলে সেফটিক শক হয় কিভাবে?যদিও এই নিয়ে অন্ধকারে মামণি রুইদাসের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনেরা।

তাদের বক্তব্য আমরা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থানায় আনতে গিয়েছিলাম কিন্তু থানার অফিসাররা বলেছেন যেহেতু সিআইডি তদন্ত চলছে,তাই পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে দেওয়া যাবে না।তারই পাশাপাশি তারা দাবি করছেন মামণির মৃত্যুর পরই তাদের সদ্যজাত শিশুকে ছুটি দিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।যার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি তাকে পুনরায় আবার ভর্তি করেছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।এরই সঙ্গে তারা অভিযোগ করছেন ঘটনার পর থেকে জেলা প্রশাসন কোন ভাবে তাদের সাহায্য করেনি।না কোন ক্ষতিপূরণের আশ্বাস,না তাদের পাশে দাঁড়ানো। যদিও এ রোগীর পরিবার বর্তমানে চাইছেন অবিলম্বে দোষী ডাক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সেইসঙ্গে যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের কঠোরতম শাস্তি এবং দুটো বাচ্চা কে ভেসে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গত বুধবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাতৃমাতে পাঁচ প্রসূতির সন্তান প্রসব হয়।এই সন্তান প্রসবের পরেই প্রসূতিরা অসুস্থ বোধ করে। অভিযোগ ছিল তাদের প্রস্রাব নিঃসরণ হচ্ছে না সেই সঙ্গে রক্ত বন্ধ করা যায়নি।এর পরে তাদেরকে তড়িঘড়ি আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়।যদি এই ঘটনায় রোগীর পরিবার ডাক্তারদের চিকিৎসার অবহেলা সেই সঙ্গে এক্সপায়ারী স্যালাইন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন লিখিতভাবে। সেই ঘটনায় শুক্রবার সকালে এক প্রসূতির মৃত্যু ঘটে।এরপরই নড়ে চড়ে বসে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর তড়িঘড়ি তেরো জনের একটি টিম পাঠানো হয় কারণ খতিয়ে দেখতে।সেদিনের ঘটনায় মোট পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়েছিল যারা হলেন,মাম্পি সিং (২৩), নাসরিন খাতুন (১৯) ও মিনারা বিবি (৩১),মামণি রুইদাস(২১) ও রেখা সাউ(২৩)।

যার মধ্যে মামনি রুইদাসের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়।তবে বাকি তিন প্রসূতি মাম্পি সিং (২৩), নাসরিন খাতুন (১৯) ও মিনারা বিবির (৩১) অবস্থা আরো খারাপ হলে তাদের লাইভ সাপোর্ট ও গ্রীন করিডরের মধ্য দিয়ে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়।যদি সে ঘটনায় গত সোমবার রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিক বৈঠক করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের সিনিয়র ডাক্তার নিয়ে মন্তব্য করেন।এই ঘটনাই এদিন প্রায় ছয় ঘন্টা ধরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে তদন্ত করে যায় সিআইডির একটি টিম।দ্বিতীয় দিনের তদন্তের বেশিরভাগটাই জেরা করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ প্রিন্সিপাল,পিজিটি ও সেইদিনের দায়িত্বে থাকা ডাক্তারদের।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in