নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
মড়া বওয়া গাড়িতে বিজ্ঞাপনের কাটআউট বইছে তৃণমূল নেতা তাও আবার মেদিনীপুরে,এরকমই ছবি ঘিরে চাঞ্চল্য মেদিনীপুরে। যদিও এই ঘটনায় এই তৃণমূল নেতা তথা ওয়ার্ড কাউন্সিলারের স্বামী বরুণ বিকাশ দে বললেন অসময়ে এই গাড়িতে করেই আমরা চাল ডাল আলুও বয়ে নিয়ে আসি বাজার থেকে।
এতদিন বিভিন্ন চোরা চালান কারবারে দেখা গিয়েছিল অ্যাম্বুলেন্সকে ব্যবহার করতে।কখনো কখনো পুলিশ ও প্রেসের স্টিকার চিটিয়ে চোরাচালান সহ অবৈধ কাজকর্ম করতে দেখা যায় রাজ্য ও জেলা জুড়ে।এবার শববাহী গাড়িতে বিজ্ঞাপনের হোডিং, কাট আউট বইতে দেখা যাচ্ছে তাও আবার মেদিনীপুরে এ রকমই ছবি দেখা গেল এই দিন।এদিন সন্ধ্যা নাগাদ মেদিনীপুর শহর পঞ্চুরচক এলাকায় দেখা যায় একটি শববাহী গাড়ি।যে গাড়িতে মূলত মৃতদেহ বহন করা হয়।সেই মৃতদেহ শ্মশান যাত্রার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় এ গাড়িতে করে কিন্তু সেই গাড়িতে করে বিজ্ঞাপনের হোডিং, কাট আউট খুলে খুলে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপার।যা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে মেদিনীপুর কে।কারণ একটি জরুরী ভিত্তিতে এবং প্রয়োজনীয় গাড়িতে করে কিভাবে মৃতদেহের বদলে বিজ্ঞাপনের কাটআউট খুলে বয়ে নিয়ে যায়,তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিন এই ছবি দেখা গেল মেদিনীপুর শহরের ব্যস্ত বহুল এলাকা পঞ্চুর চক কলেজ সংলগ্ন এলাকায়।যদিও এ বিষয়ে গাড়ির ড্রাইভার সোজা সাপটা উত্তর দিয়ে বলেন এই গাড়িতে করে আমরা চাল ডাল ও মাঝে মাঝে বয়ে বেড়ায় এটা আমাদের নিজস্ব পার্সোনাল গাড়ি।এতে আমরা ভুলের কিছু দেখছি না।
অন্যদিকে এ বিষয়ে গাড়ির মালিক তথা মেদিনীপুর পৌরসভার কুড়ি নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রতিমা দে এর স্বামী তৃণমূল নেতা ওয়ার্ড সভাপতি বরুণ বিকাশ দে বলেন,”এই গাড়িটা আমার নিজস্ব।এই গাড়ি করে যেমন মৃতদেহ বহন করা হয় ঠিক তেমনি গাড়িটা পড়ে থাকলে অসময়ে আমরা এই বিজ্ঞাপনের কাট আউট বয়েও নিয়ে চলে আসি।এরই সঙ্গে তারা মায়ের উৎসব হলে বা কোন সময় সমস্যা হলে আমরা চাল ডাল আলু আনতে এই গাড়িতে ব্যবহার করি।এরই পাশাপাশি তিনি কিছুটা খোশ মেজাজে বলেন,”এই গাড়িটা করেই আমরা বিভিন্ন মেলায় লোকজন নিয়ে গিয়ে থাকি,এতে আমাদের খারাপের কিছু দেখছি না।”
যদি এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় গাড়ি কিভাবে এ ধরনের কাজকর্মে লিপ্ত থাকে।