নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
“এক শ্রেনীর পুলিশ প্রশাসন এবং ভূমি দপ্তরের লোকেদের জন্য ব্যবসা বন্ধ হতে যেতে বসেছে আমাদের তাই আমরা থালা বাটি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি,এবার আমরা ভূখ হরতাল”করব ঠিক এভাবেই হুমকি দিয়ে আন্দোলনে নামলো পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অপারেটরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।এইদিন জেলাশাসকের দপ্তরে বিক্ষোভের পাশাপাশি দেওয়া হলো ডেপুটেশন।
এবার মোহনপুর ব্রিজে ২৫ টনের উপর ট্রাক চলাচলের দাবিতে এবার থালা বাটি নিয়ে রাস্তায় নামলেন পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অপারেটরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।প্রসঙ্গত,পশ্চিম মেদিনীপুরের সঙ্গে খড়গপুর সহ কলকাতা যোগাযোগের প্রধান বাস ব্রিজ হল বীরেন্দ্র সেতু যা মোহনপুর ব্রিজ নামে পরিচিত।এই ব্রিজের ভগ্ন দশার জন্য বিগত জেলাশাসক আয়েশা রানী এ থাকাকালীন ভারী যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।সে ক্ষেত্রে ২৫ টনের উপরে ভারী যানবাহন একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচলে।তার পরিবর্তে ঘুরপথে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়।এরপর জেলাশাসক পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু নির্দেশিকা রয়ে গিয়েছে।যদিও সে সময় জেলাশাসক আরেকটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটি হল নতুন ব্রিজ চালু করা।কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতি রয়ে গিয়েছে।এখনো পর্যন্ত নতুন ব্রিজ বা নতুনভাবে অন্য পথ চালু করতে পারেনি প্রশাসন।উপরন্ত এই মালিকদের অভিযোগ এই ব্রিজের উপর দিয়ে রাতের অন্ধকারে পুলিশ টাকার বিনিময়ে ভারি ভারি যানবাহন পারাপার করে।
এর ফলে এক দিয়ে যেমন ব্রিজের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি ঘুরপথে নিত্য প্রয়োজনীয় ট্রাক সরবরাহে প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে আট থেকে দশ হাজার টাকা।তাই এই ব্রিজের উপর দিয়ে ২৫ টনের এর উপর যানবাহন ও ট্রাক চলাচলে অনুমতি সহ মোট ১৬ দফা দাবির ভিত্তিতে আন্দোলনে নামলেন এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।এদিন শহরে একটা বড় মাপের মিছিল করা হয়।যে মিছিলে থালা বাটি নিয়ে তারা বাজাতে বাজাতে উপস্থিত হন জেলা শাসকের কাছে।সেখানে তারা বিক্ষোভ দেখান এক প্রস্থ এরপর তারা ডেপুটেশন তুলে দেন জেলা শাসকের নিকট।যদিও এ বিষয়ে এই সংগঠনে সদস্যদের বক্তব্য দাবি না মানা হলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পাশাপাশি অবরুদ্ধ করে দেওয়া হবে এই মোহনপুর বাস ব্রিজ।
এই বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অপারেটরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক প্রদীপ মন্ডল বলেন,”যেখানে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন পুলিশের জুলুম বাজি সেখানে আমাদের আর কি বলার আছে। এরই সঙ্গে আমরা বলতে চাই এখানকার ভূমি দপ্তর এবং জেলা প্রশাসন অস্বচ্ছতার জন্য প্রতিদিন আমাদের হাজার হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।পাশাপাশি যেখানে আমাদের ২৫ টনের উপর ট্রাক বন্ধ সেখানে রাতের অন্ধকারে পুলিশ টাকা নিয়ে যানবাহন যাতায়াত করে। যার ফলে একদিকে আমাদের ঘুর পথে গিয়ে বহু টাকা খরচা হয়ে যায় এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়াতে বাধ্য হই আমরা।আমরা আজকে এই কপি দিয়ে গেলাম যদি না মানা হয় আগামী দিনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।বিনয় প্রসাদ,আজিজুল রহমানরা বলেন,”পুলিশের হয়রানির সঙ্গে ভূমি দপ্তরের জুলুম বাজি যার ক্ষেত্রে একদিকে যেমন ট্রাক মালিকরা সমস্যায় পড়েছেন তেমনি গ্রাহকরা ও সমস্যায় পড়েছেন আর তাতে আমাদের ব্যবসা বন্ধ হতে যেতে বসেছে।আজকে আমরা থালা বাটি নিয়ে এসেছি আগামী দিনে আমরা ভুখ হরতালে নামবো এই জেলায়।