
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
পাঁচ প্রসূতির মধ্যে সকাল হতে মৃত্যু হল এক প্রসূতির যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।যদিও এই ঘটনায় হাসপাতালে চরম অব্যবস্থা সেই সঙ্গে চিকিৎসায় এক্সপায়ারি ওষুধ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ রুগী ও রোগীর পরিবারের।যদিও এই ঘটনায় কটাক্ষ রাজনৈতিক দলের বিরোধীদের।তাদের বক্তব্য এই গভর্মেন্ট এর সময় হয়েছে এক্সপায়ারী হওয়ার।

গতকাল থেকেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাতৃমাতে চিকিৎসার অব্যবস্থায় 5 প্রসূতি অসুস্থ হওয়া নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।যদিও তড়িঘড়ি সেই ঘটনায় প্রস্তুতিদের আইসিইউ এবং সিসিইউতে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য।রাতারাতি কমিটি গঠন করেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং এই চিকিৎসার অব্যবস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।কিন্তু রাত ফুরোতেই সেই প্রসূতিদের মধ্যে একজন প্রসূতির মৃত্যুতে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়ালো মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে।মূলত মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে চিকিৎসাধীন এক প্রসূতির মৃত্যু হয়।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে গত বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যালের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি হয় কেশপুরের অমৃতপুরের প্রসূতি মামনি দাস। গতকাল থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে প্রথমে আইসিইউ পরে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তর করা হয়। সেই প্রসূতির মৃত্যু হয় শুক্রবার সকালে বলে দাবি পরিবারের। ঘটনার পর কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার পরিজনেরা।এই ঘটনায় এবার কটাক্ষ করল বিরোধীরা।বিরোধী রাজনীতি দল সিপিএম এবং বিজেপি রীতিমতো কাট মানি এবং পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ার অভিযোগ তোলেন।

এ বিষয়ে বিজেপি জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটাই দাঁড়িয়ে আছে দুর্নীতি এবং কাটমানির উপর। না হলে কি করে এই প্রসূতি মহিলাদের এক্সপায়ার স্যালাইন এবং ফাঙ্গাস ভর্তি স্যালাইন দেওয়া হয়। তিনি এও বলেন তৃণমূলের কোন দালাল ব্যাকডেটেড এই স্যালাইন কিনে বিক্রি করেছে হাসপাতালে।যার জন্যই এই দুর্দশা এবং এই ধরনের পরিস্থিতি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।

অন্যদিকে এই নিয়ে জেলা কমিটির সদস্য কীর্তি দে বক্সি ওরফে টোটন বক্সী বলেন, expiary স্যালাইন নয় বরং এই গভমেন্টটায় এক্সপায়ার হওয়ার সময় চলে এসেছে। তিনি এও বলেন গত ১৪ বছর ধরে কোন এসএসসি হয় নি, চাকরি-বাকরি নেই,গ্রামের ছেলেমেয়েরা বাইরে কাজ করতে চলে যাচ্ছে।এরা চাই গোটা ব্যবস্থা টাকেই দুর্বৃত্তদের হাতে তুলে দিতে।

যদিও এই ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর সড়ঙ্গী বলেন,” মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তার হাতে নেই বা তিনি বলার এক্তিয়ার নেই। তবে যা ঘটনা ঘটছে তা খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে যেখানে জানানোর অবশ্যই তিনি জানাবেন।

যদিও হাসপাতালের পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।রয়েছেন কোতোয়ালি থানার আইসি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।যদি এ ঘটনায় রাজ্যের ১৩ জনের একটি টিম আগামীকাল আসছেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে।