নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
অবশেষে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রীর।মেদিনীপুর হাসপাতালে ছত্রাক ভর্তি স্যালাইন ও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুপার সহ ১২ জনকে সাসপেন্ড। আক্ষেপ করে বলেন সরকারি চিকিৎসায় এত সুবিধা দিয়েও বাঁচানো গেল না প্রসূতি ও শিশুকে।
অবশেষে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের।মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রস্তুতি মৃত্যু এবং স্যালাইন কাণ্ডে এবার ১২ জনকে সাসপেন্ড করলো তারা। এদিন এক সাংবাদিক বৈঠক করে সেই যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই তালিকায় রয়েছেন মাতৃমা বিভাগে ইউনিট ১সি-র বেড ইনচার্জ দিলীপ পাল,সিনিয়র চিকিৎসক হিমাদ্রি নায়েক, আরএমও সৌমেন দাস,অ্যানাস্থেশিস্ট পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়,পিজিটি প্রথম বর্ষের চিকিৎসক মৌমিতা মণ্ডল,পূজা সাহা, ইন্টার্ন চিকিৎসক সুশান্ত মণ্ডল, পিজিটি তৃতীয় বর্ষের চিকিৎসক জাগৃতি ঘোষ,ভাগ্যশ্রী কুন্ডু, পিজিটি প্রথম বর্ষের অ্যানাস্থেশিস্ট মণীশ কুমার, বিভাগীয় প্রধান মহম্মদ আলাউদ্দিন, হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত রাউত।চিকিৎসক দিলীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই দিন হাসপাতালের বাইরে অস্ত্রোপচার করছিলেন।বাকিদের কাজে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য নবান্নে জানান সঠিক ভাবে চিকিৎসকেরা দায়িত্ব পালন করলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি এবং সদ্যোজাতকে বাঁচানো যেত।এই ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিলেন তিনি।তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের আরএমও এবং এমএসভিপি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গত বুধবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের মাতৃমাতে পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হওয়ায় তাদের দ্রুত আই সি ইউ তে রেফার করা হয়। যার মধ্যে একজন পরের দিনই মারা যান এবং তিনজনে গুরুতর অবস্থা হওয়ায় কলকাতায় রেফার করা হয়। এই ঘটনায় এক প্রসূতি ইতিমধ্যে মাতৃমাতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এরই মধ্যে একটি স্বাস্থ্য টিম ঘুরে গেছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।তারা সংগ্রহ করেছে স্যালাইন এবং বাকি চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যের।
অন্যদিকে মুখ্য সচিব সিআইডি তদন্ত জারি ও রেখেছেন।গত দুদিন ধরে সিআইডির আধিকারিকরা দফায় দফায় জেরা করেছে হাসপাতাল সুপার ডাক্তারসহ সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের। সেই সব কিছু খতিয়ে দেখে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।