নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জঙ্গলমহলের খুদে বছর ছয়েকের রাই রীতিমতো ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মাধ্যমে।এক বছরে তার ফলোয়ারের সংখ্যা চার থেকে পাঁচ লক্ষ।রিলসের দৌলতে তার ঝুলিতে এক ও একাধিক অ্যাওয়ার্ড সেই সঙ্গে ইউটিউব থেকে সিলভার বটম।বাবার হাত ধরে ইচ্ছে রয়েছে তার বড় গায়িকা হওয়ার।
সোশ্যাল মাধ্যমে সবাই তাকে “রাই কিশোরী” হিসেবে চেনে। Instagram facebook অথবা ইউটিউব খুললেই ভেসে উঠে বাবা মেয়ের ছবি।আর সেই বাবা মেয়ে রিলস বানিয়ে রীতিমতো এখন জঙ্গলমহল জুড়ে নাম কামিয়ে ভাইরাল হয়েছে আরাধ্যা ঘোষাল।মাসে ইনকাম কখনো ৫০ হাজার টাকা তো কখনো এক লক্ষ টাকা।যদিও মেয়েকে নিয়ে গর্বিত বাবা শিবু ঘোষাল।আসলে মেদিনীপুর শহরের তোড়াপাড়া এলাকার এক ছোট্ট ব্যবসায়ী শিবু ঘোষাল।শিবু ঘোষাল তার স্ত্রী অপর্ণা ঘোষাল ছেলে অভিনন্দন এবং মেয়ে সঙ্গে বাবা-মাকে নিয়ে তার সংসার।ছোট ব্যবসার কাজে চারিদিকে দৌড়াতে হয় তাকে।অবসর টাইমে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সে রিলস বানায়।এই রিলস পোস্ট করতেই এই এক দেড় বছরে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে উঠেছে এই ঘোষাল পরিবার।যদিও সেই ভাইরাল হওয়ার দৌলতে রয়েছে তার ছোট্ট ছ বছরের খুদে মেয়ে রাই কিশোরী।
এই রাই সবে মাত্র ইংলিশ মিডিয়ামে প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।তার আসল নাম আরাধ্যা ঘোষাল।বাবার রিলস বাড়ানোর নেশায় সেও একদিন নেমে পড়ে।আর বাবা মেয়ে করে ফেলে সেই মজাদার রিলস যা সোশ্যাল মাধ্যমে খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে ওঠে।আস্তে আস্তে এক একটা রিলসে তার ভিউয়ার্স এবং ফলোয়ার্স হয়ে ওঠে লক্ষ লক্ষ।রীতিমতো instagram facebook এবং youtube এর দৌলতে খুব তাড়াতাড়ি পরিচিত মুখ হয়ে ওঠে এই রাই।হিন্দি বাংলা সহ নানারকম গানের ভূমিকায় দেখা যায় রায় কিশোরীর সঙ্গে তার বাবাকে।মাঝে মাঝে ভাই এবং মাকে নিয়েও রিলস বানায় এই ছোট্ট রাই।এই রিলস এবং ফেসবুকের দৌলতে সে ডাক পায় বিভিন্ন জায়গায়।ইতিমধ্যে তাকে ইউটিউব থেকে এক লক্ষ ফলোয়ারের জন্য দেওয়া হয় সিলভার বটম।
এছাড়া বিভিন্ন ফ্যাশন শো সহ বিভিন্ন অর্গানাইজেশনের শো তে অংশগ্রহণ করে সে অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়।ইতিমধ্যে তার ঝুলিতে বেস্ট ভয়েসের জন্য অ্যাওয়ার্ড রয়েছে।ইতিমধ্যে কলকাতার টলিউড থেকে বিভিন্ন সিরিয়ালের অভিনয়ের সুযোগ আসে তার কাছে।জেলায় তো বটেই বিভিন্ন জেলায় গেলেই তাকে একবার দেখার জন্য ছুটে আসেন হাজার হাজার মানুষজন অথচ শান্ত স্বভাবের এই ক্ষুদে মেয়েটি রীতিমতো ব্যস্ত নিজের গান এবং রিলস নিয়ে।
এ বিষয়ে খুদে রাই বলে,”আমার নাম আরাধ্যা ঘোষাল কিন্তু আমাকে সবাই রাই হিসেবে চেনে। আমি বাবার সঙ্গে শুধু রিলস বানাই এবং তাতে বহু মানুষ আমাদের ডাকে আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চায় আমাকে পছন্দ করে।আমি গান বাজনা ভালবাসি এবং বাবাকে খুব ভালোবাসি।আমি বড় হয়ে গায়িকা হব।
যদিও এ বিষয়ে রাই এর বাবা শিবু ঘোষাল বলে, “কখনো ভাবি নি আমি আমার মেয়ের নামে পরিচিত হব।এখন যেখানেই যায় সবাই আমাকে রাই এর বাবা হিসেবে চেনে এতে আমি গর্বিত।এই জার্নিটা এই বছরখানেক আগেই শুরু হয়েছিল।মেয়ে আমার গান ভালোবাসতো কিন্তু রিলস করতে করতে এইভাবে ভাইরাল হয়ে উঠবে তা ভাবি নি।কলকাতা শহর টলিউডের বিভিন্ন সিরিয়াল থেকে ডাক আসে মেয়ের কিন্তু খুব ছোট্ট রাই তাই পাঠাতে ভয় করি।ইতিমধ্যে বহু সোশ্যাল মাধ্যমের মানুষজন সঙ্গে পরিচিত হয়েছে এবং এভাবেই আমি ওর বাবা হয়েই চিরদিন থাকতে চাই।আমার মেয়ে ভবিষ্যতে যা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সব সময় ওর পাশে রয়েছি।