
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
অবশেষে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সরলো সেই বিষক্রিয়া স্যালাইন।মূলত এক প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার পর গত ১৩ জানুয়ারি নির্দেশিকা জারি করে ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’এর তৈরি ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইন সব হাসপাতাল থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেই নির্দেশিকা পালন হলো মেদিনীপুরে।

অবশেষে নির্দেশিকাকেই বহাল রাখলো স্বাস্থ্য দপ্তর,মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে অবশেষে সরানো হল সেই নিষিদ্ধ স্যালাইন।সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যালে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি।তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়।আরও তিন জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। রোগীর পরিবারের অভিযোগ ছিল হাসপাতালে নিম্নমানের রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল প্রসূতিদের।যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রসূতিরা। দাবি,ওই স্যালাইন ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’ সংস্থার তৈরি।এর পরেই ওই সংস্থার স্যালাইন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল স্বাস্থ্য দফতর।তার পরেই গত নির্দেশিকা জারি করে ওই স্যালাইনের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এই নিয়ে সব হাসপাতালের সুপার এবং চিফ মেডিক্যাল অফিসারের উদ্দেশে জারি করা নির্দেশিকায় স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল,‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’ এর তৈরি রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন আর হাসপাতালে ব্যবহার করা যাবে না।যদি কোনও হাসপাতালে ওই স্যালাইন মজুত থেকে থাকে তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে।এমনকি সরিয়ে এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাতে কেউ তা বার করে ব্যবহার না করতে পারে।স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা জারি হওয়ার এত দিন পর সেই নির্দেশ পালন করা হল, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছে।


যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপার ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সরানো হয়েছে আরএল স্যালাইন গুলিকে। পরবর্তী কালে যেমন নির্দেশ মিলবে,তেমন কাজ করা হবে।’’