Uddan:জন শিক্ষণ সংস্থান-এর উদ্যোগে প্রাক্তনীদের ‘সফলতা কা উৎসব’- ‘উড়ান’! শিক্ষার্থীদের হস্তশিল্পের প্রদর্শনী

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

ভারত সরকারের দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা মন্ত্রক দ্বারা অনুমোদিত বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘জন শিক্ষণ সংস্থান,পশ্চিম মেদিনীপুর-এর উদ্যোগে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো ‘সফলতা কা উৎসব’ ও প্রাক্তনী পুনর্মিলন উৎসব।

যে উৎসবের নামকরণ করা হয়েছিল ‘উড়ান’ নামে।
এইদিন চারাগাছে জল ঢেলে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক সুজয় হাজরা।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্কিল ডেভেলপমেন্টের ডেভেলপমেন্ট দপ্তরের আধিকারিক বিরাজ কৃষ্ণ পাল, জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার শুভেন্দু কুমার বিশ্বাস, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকার সম্পাদক নিশীথ কুমার দাস,পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিস-এর সাধারন সম্পাদক চন্দন বসু, পশ্চিমবঙ্গ তপশিলী জাতি, উপজাতি ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন সংস্থার সম্পাদক সত্যব্রত দোলই, গোপ কলেজের অধ্যাপক মৃণাল পৈড়া,জন শিক্ষণ সংস্থানের চেয়ারম্যান ভীষ্মপ্রতীম অধিকারী, ডিরক্টর পতিতপাবন মুখার্জী সহ বোর্ড অফ ম্যানেজমেন্টের সদস্যবৃন্দ, সংস্থানের কর্মী, প্রশিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীরা ও প্রাক্তনীরা।

এদিনের এই উৎসবে জন শিক্ষণ সংস্থান থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী তাঁদের হাতে তৈরী হস্তশিল্পের প্রদর্শনী প্রদর্শন করেন। উল্লেখ্য,অনেক প্রাক্তনী এই সংস্থান থেকে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পেয়ে নিজেরা সাবলম্বী হয়েছেন নিজেরা রোজগার শুরু করছেন।তাঁরা তাঁদের সাফল্যের কাহিনী সকলের সামনে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে সফল প্রাক্তনীদের হাতে শংসাপত্র ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।এছাড়াও সংস্থানের দক্ষ প্রশিক্ষকদেরও পুরস্কৃত করা হয়। প্রাক্তনীরা ও প্রশিক্ষকরা নৃত্য, সঙ্গীত আবৃত্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি প্রাণোচ্ছল করে তোলেন।

দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা মন্ত্রকের ডেপুটি সেক্রেটারী ইন্দুভূষণ লেঙ্কা দিল্লী থেকে ভার্চুয়ালী এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন এবং সংস্থানের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানান।ডিরেক্টর পতিতপাবন মুখার্জী বলেন,”সমাজের সামগ্রিক উন্নতির জন্য যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি একান্ত জরুরী এবং তাদের উৎসাহিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।”সত্যব্রত দোলাই বলেন, ২০০৫ সালে এই সংস্থানের প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর পিতা প্রাক্তন বিধায়ক ড. রজনীকান্ত দোলই।বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মোট ৩৪টি শাখা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ১৬টি ফোর্সের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

তপশিলী জাতি ও উপজাতির ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ-দেওয়া হয়। সত্যব্রতবাবু বলেন, তাঁদের সংস্থান থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বহু যুবক-যুবতী আজ আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হয়েছেন এবং উপার্জন করছেন।




Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in