
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে মোহনপুর ব্রিজের উপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে কিছুটা ছাড় দিল জেলা প্রশাসন।এরই পাশাপাশি ব্রীজের দুপাশে বসতে চলেছে ট্রাক ওজন করার ধর্ম কাটা।এদিন প্রশাসনের লোকজন এক প্রস্থ খতিয়ে দেখে আলোচনার মধ্যে দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় যাতে আংশিক নিজের আন্দোলন জয় বলে মনে করছে ট্রাক মালিকরা।
গত ২০২২ সালের মধ্যবর্তী সময় থেকে মেদিনীপুর ও খড়গপুর সহ কলকাতা যোগাযোগের এক ও অন্যতম মাধ্যম মোহনপুর বাস ব্রিজের এই বীরেন্দ্র সেতুর উপর প্রশাসন থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।তার কারণ হিসেবে প্রশাসন দাবি করে ব্রিজের অবস্থা ভঙ্গুর,দুর্বল হয়ে পড়েছে।তাই এর উপর দিয়ে ছোট ছোট যানবাহনের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ২৫ টনের ট্রাক তার মালপত্র নিয়ে বহন করতে পারবে।এর সঙ্গে এও আশ্বাস দেওয়া হয় আগামী দিনে নতুন ব্রিজ তৈরি হবে এবং একে মেরামত করে পুনরায় পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে আনা হবে।কিন্তু মাঝখানে দু’বছর কেটে গেলেও নতুন বছরেও কোন সদুত্তর না পেয়ে একের পর এক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অপারেটরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।তারা যেমন রাস্তা অবরোধ করছে সেই সঙ্গে জেলাশাসককে চিঠিও দিয়েছেন।পাশাপাশি নিজেরা রাস্তা তৈরি করে নেওয়ার এক প্রস্থ প্রপোজালও দেন জেলা শাসককে।

তাতেও টনক না নড়ায় অবশেষে বীরেন্দ্র সেতুতে ট্রাক নিয়ে গিয়ে ব্রিজের উপর শুয়ে বিক্ষোভ দেখান ট্রাক মালিকরা।তাদের এই আন্দোলনের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বীরেন্দ্র সেতু। সেই ঘটনায় আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।এইদিন ট্রাক মালিকরারা জানান ৬ দিনের মাথায় প্রশাসন তাদের ডেকে এক প্রস্থ ব্রিজের উপর পরিদর্শন করে জানান ২৫ টনের জায়গায় এবার সাড়ে ৩৬ টন ওজনের ট্রাক যাতায়াত করতে পারবে এই ব্রিজের উপর দিয়ে।তবে এই ট্রাক যাতায়াত করার আগে পাশেই ওজন কাঁটার মধ্য দিয়ে ওজন করে নেওয়া হবে ট্রাকের।এরই পাশাপাশি পার্শ্বস্থ এলাকায় অস্থায়ী ব্রিজ করারও ভাবনাচিন্তা রয়েছে।এই ঘটনায় নিজেদের জয় দেখছে ট্রাক মালিকরা।


এই বিষয়ে এইদিন পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অপারেটরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক
প্রদীপ মন্ডল বলেন,”দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে আজ আলোচনার টেবিলে আমরা বসে ছিলাম। যেখানে ২৫ টনের জায়গায় সাড়ে ৩৬ টনের ট্রাক যাতায়াতে গ্রীন সিগন্যাল দেওয়া হয় প্রশাসন থেকে।পাশাপাশি ব্রিজের দুপাশে বসবে ওজন করার কাঁটা।এরই সঙ্গে পার্শ্বস্থ জায়গা দিয়ে অস্থায়ী রাস্তা করারও ব্যবস্থা করার ভাবনা-চিন্তা রয়েছে প্রশাসনের।এতে আমরা আমাদের আংশিক জয় দেখতে পাচ্ছি এবং আমরা ট্রাক ড্রাইভারদের হয়ে লড়াই চালিয়ে যাব।