নিজস্ব প্রতিনিধি,মোহনপুর :
ফের বালির ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক চিকিৎসকের যা নিয়ে উত্তেজনা মেদিনীপুর শহরের মোহনপুর চক এলাকায়।মৃত চিকিৎসকের নাম হরিপদ রাউত (৬৭) বাড়ি মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দ নগরে।পেশায় তিনি একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। যদিও এই ঘটনায় বালি ট্রাকের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশকে দুষছে এলাকার মানুষজন।
সপ্তাহের ছুটির দিনে বালি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের,যা নিয়ে উত্তেজনা সংশ্লিষ্ট এলাকায়। ঘটনা ক্রমে জানা যায় এইদিন সকাল নাগাদ নাগাদ মোহনপুর এলাকায় একটি বালি বোঝাই ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দনগর এলাকার বাসিন্দা বছর ৬৭-র হরিপদ রাউতের।পেশায় হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন চিকিৎসক হরিপদ বাবু বাইকে করে বাড়ি থেকে পিংলার কড়কাইয়ের যাচ্ছিলেন চেম্বার করতে।মূলত প্রতি রবিবার সেখানেই চেম্বার করেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। এই দিন যাওয়ার পথেই ঘটে যায় ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা। মেদিনীপুর শহর থেকে ব্রিজ পেরিয়ে মোহনপুরের চকে ট্রাফিক সিগন্যালে ‘লাল বাতি’ দেখে দাঁড়িয়ে যান তিনি।কিন্তু সেই সময় একটি বালি বোঝাই ডাম্পার সিগন্যাল না মেনে তাঁকে ধাক্কা মেরে খড়্গপুরের দিকে পালাতে থাকে।এই ঘটনায় রাস্তার উপরই লুটিয়ে পড়েন তিনি।তৎক্ষণাৎ স্থানীয়রা দৌড়ে আসেন দৌড়ে আসেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা।ওই ডাম্পার টিকে আটকানোর চেষ্টা করেন।তাতে ওই গাড়ির চালক বেগতিক দেখে ডাম্পার পিছোতে থাকেন।
এই ঘটনায় স্থানীয়রা চিৎকার করে ড্রাইভারকে সচেতন করতে যান কিন্তু তাদের চিৎকারও শুনতে পান না চালক।ফলে, রাস্তার উপর পড়ে যাওয়া বাইক চালক হরিপদ রাউত পিষ্ট হয়ে যান ডাম্পারের চাকায়।এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।তাঁরা পথ-অবরোধ শুরু করেন।এর ফলে ৬০ নং জাতীয় সড়কের মোহনপুর ব্রিজের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে কয়েকশ ছোট-বড় গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়।তাতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রায় দু’ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে।মৃতদেহ উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।এই ঘটনায় ডাম্পারের,চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।আটক করা হয়েছে বালি বোঝাই ডাম্পারটিও।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে মৃত চিকিৎসকের ভাইপো সঞ্জয় রাউত বলেন,”আমি ফোনে খবর পেয়েই ছুটে আসি।ততক্ষণে সব শেষ।কোনও ভুল না করেও বেঘোরে প্রাণ হারালেন আমার কাকু। পাশাপাশি তিনি এও বলেন পুলিশ প্রশাসনের আরও কড়া হওয়া উচিত ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে। ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙলে বড় সড়ো ফাইন করা উচিত।ট্রাফিক পুলিশের কড়াকড়ি থাকলে হয়তো কাকুর এভাবে প্রাণ যেত না।