
নিজস্ব প্রতিনিধি,ভীমপুর:
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি ব্লকের ভীমপুর এবিএম গার্লস হাইস্কুলে এক মহিলা শিক্ষকতা করেন।অভিযোগ,গত সেপ্টেম্বর থেকে তিনি আমেরিকায় রয়েছেন অথচ প্রতি মাসে তিনি বেতন পাচ্ছেন।গুরুতর এই অভিযোগ তুলেছেন স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ।যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।অন্যদিকে অভিযোগ পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ শিক্ষা দফতরের।


মূলত স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী,কোনও শিক্ষক ৪৫ দিনের বেশি ছুটি নিলে (সর্বাধিক চাইল্ড কেয়ার লিভ ৪৫ দিন) তা ‘বিনা বেতনের ছুটি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এ নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের নির্দিষ্ট আইনও আছে। তা সত্ত্বেও একজন শিক্ষিকা প্রায় সাড়ে চার মাস স্কুলে না এসে কী ভাবে বেতন নিচ্ছেন প্রশ্ন উঠছে খোদ স্কুলেই। এই শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই তিনি আমেরিকায় রয়েছেন।তারপরও প্রতি মাসে বেতন তুলে নিচ্ছেন ওই শিক্ষিকা।এটা কতদিন চলতে পারে।যদিও এই নিয়ে ভীমপুর এবিএম গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা চৈতালি শিট সাংবাদিকদের বলেন,‘এ নিয়ে আমি সাংবাদিকদের কিছু বলব না।

অন্যদিকে এই বিষয়ে মেদিনীপুর ডিআই (সেকেন্ডারি) স্বপন সামন্ত বলেন, ‘এরকম একটি অভিযোগ কানে এসেছে।বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি।’সেই সঙ্গে ওই শিক্ষিকার জানুয়ারি মাসের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছেন ডিআই।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খ্রিস্টান সার্ভিস সোসাইটির অধীনে থাকা এই ভীমপুরের দু’টি স্কুল যথাক্রমে ভীমপুর সাঁওতাল উচ্চ বিদ্যালয় এবং ভীমপুর এবিএম গার্লস হাইস্কুলে ‘অবৈধ’ নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।এর আগেও এই স্কুলের বিরুদ্ধে এক ও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল।ঘটনাচক্রে ভীমপুরের ওই দু’টি স্কুলে যে সময়ে অবৈধ নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ ওঠে, অভিযুক্ত অঙ্কের শিক্ষিকার নিয়োগ হয়েছে সেই সময়ই (২০১৭ সাল)।দু’টি স্কুলে অবৈধ নিয়োগ কাণ্ডে বছরখানেক আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন তৎকালীন ডিআই (জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক) চাপেশ্বর সর্দার।

দুর্নীতির সেই মামলা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। চলতি মাসেই প্রাক্তন ডিআই চাপেশ্বর সর্দারের জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।