জিন্দালদের 16 হাজার কোটি টাকার পাওয়ার প্ল্যান্ট শালবনিতে! শুধু-ই কি প্রতিশ্রুতি প্রশ্ন জমিদাতাদের

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,শালবনি:

শালবনীতে হতে চলেছে ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচা করে দুটি পাওয়ার প্ল্যান্ট আর তাতে আশার আলো দেখছে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর।তবে স্থানীয়দের পাশাপাশি জমিদাতা কমিটির মানুষদের বক্তব্য অনেকেই প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলী কিন্তু তা পূরণ হয়নি।আমরা মার্চ মাস অব্দি অপেক্ষা করব না হলে বৃহত্তর ভাবনাচিন্তা করব এই জমি নিয়ে।

দুদিনের BGBS (BENGAL GLOBAL BUSINESS SUMMIT) 2025 শেষ হয়েছে রাজ্যে সেখানে হাজির হয়েছিলেন দেশ বিদেশের শতাধিক শিল্পপতি। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মত প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার লগ্নি নিয়ে হতে চলেছে রাজ্যে।যে লগ্নিতে স্থান পেয়েছে সালবনির পাওয়ার প্লান্ট।কারণ জেএসডব্লিউ গ্রুপের চেয়ারম্যান সজ্জন জিন্দাল জানিয়েছেন,শালবনিতে দুটি ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৬,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।পাশাপাশি দুর্গাপুর বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও একটি শিল্প পার্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। আর তাতেই স্বভাবত কিছুটা উচ্ছ্বসিত জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী এলাকার মানুষজন।তারই পাশাপাশি তারা কিছুটা ক্ষুব্ধ এবং হতাশাগ্রস্থ।কারণ তাদের বক্তব্য অনুযায়ী এর আগে অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এখানে নতুন করে শিল্প স্থাপনের,নতুন করে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এলাকার মানুষদের কিন্তু তা প্রতিশ্রুতি রয়ে গেছে।

খোদ সৌরভ গাঙ্গুলী এখানে লৌহ ইস্পাত শিল্প গড়ে উঠবে বলেও এক বিবৃতি জানানোর পর প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু তা এখনো গড়ে ওঠেনি।তাই আর কারো কথা বিশ্বাস করছেন না স্থানীয়রা। তবে এই BGBS সামিটে খোদ জিন্দাল মালিক সজ্জন জিন্দালের মন্তব্যে কিছুটা আশার আলো দেখছেন তারা।কারণ এখানে খোদ মালিক নিজেই বলছেন তারা পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ে তুলবেন ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচা করে।তাতে একদিকে যেমন বিদ্যুতের ঘাটতি কমবে সেইসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থান হবে এই জঙ্গলমহল এলাকা জুড়ে।বিশেষ করে গড়বেতা,চন্দ্রকোনা রোড,সালবনি, মেদিনীপুর, ভাদুতলা অপরদিকে পিড়াকাটা সংলগ্ন প্রচুর বেকার যুবক-যুবতীদের যেমন কর্মসংস্থান হবে সেই সঙ্গে পড়ে থাকা জমির সঠিক ব্যবহারও করা হবে।

এ বিষয়ে জমি দাতা কমিটির চেয়ারম্যান পরিষ্কার মাহাতো বলেন,”এর আগেও সৌরভ সহ অনেকেই অনেক রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু তা পূরণ হয়নি।এখন খোদ এই মালিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই মঞ্চ থেকে।তাই আমরা আশা করছি যে আগেও যেহেতু এখানে কারখানা হয়েছে তাই তার কথা মত কাজ হবে।তবে আমরা মার্চ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করব তারপর যদি কোন রকম শিল্প স্থাপন বা উদ্যোগী না হয় আমরা বড় রকমের ভাবনা চিন্তা নেব।

অন্যদিকে স্থানীয় সীতারাম মাহাতো বলেন,”অনেকেই আসেন অনেকেই প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু তারপর আর কাজের কাজ কিছুই হয় না।তবে যদি মালিক নিজে প্রতিশ্রুতি দেন তাতে অনেকটা কাজ হবে বলে আমরা আশাবাদী আর তাতে অনেকটাই বেকার সংখ্যা কমবে এলাকার মানুষ কর্মসংস্থান পাবে।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in