Mahakumbha Mela:মেয়ে জামাই ফিরলেও ফিরলো না উর্মিলা!কুম্ভমেলার পদপৃষ্ঠে মৃত্যু হল শালবনীর বৃদ্ধার

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,শালবনি:

কুম্ভমেলায় গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল মেদিনীপুরের বৃদ্ধার।কুম্ভ মেলায় স্নান করার শেষ ইচ্ছে পূরণ হলো না তার।এই ঘটনায় শোকের ছায়া পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে। যদিও এই ঘটনায় মৃতদেহ উত্তর প্রদেশ সরকারের অ্যাম্বুলেন্স দ্বারা আনা হবে প্রথমে খড়গপুরে এরপর নিয়ে যাওয়া হবে শালবনিতে শেষকৃত্যের জন্য।

জীবনের শেষ বয়সে এসে ভেবেছিলেন পুণ্য স্নান করবেন কিন্তু সেই ইচ্ছে অপূর্ণই থেকে গেল শালবনির বছর ৭৮ উর্মিলা ভূঁইয়ার। গত বুধবার মহা কুম্ভ মেলায় বিশেষ যোগ থাকায় সেই যোগে স্নান করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের আহত হয়েছে শতাধিক।যে ঘটনায় রাজ্য ও রাজনীতিতে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।এই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুতে নাম জড়ালো পশ্চিম মেদিনীপুরের।ঘটনাক্রমে জানা যায় ১৪৪ বছর পর প্রথম এই যোগ এসেছে এবং তাতে স্নান করলে মিলবে মোক্ষ।তাই দেশের সমস্ত প্রান্তের কাতারে কাতারে মানুষ যাচ্ছেন এই মহা কুম্ভে স্নান করতে। এই মহাকুম্ভের খোঁজ পেতেই আর দশটা পরিবারের মতো খড়্গপুরে থাকা মেয়ে জামাইকে নিয়ে প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি থানার গোদাপিয়াসাল কাছারি রোডের বাসিন্দা এই বৃদ্ধা।

প্রয়াগরাজে পৌঁছে গিয়ে তাদের কর্মসূচি ছিল বুধবার সকালে স্নান করার।সেই মত গত সোমবার বিকেলে খড়্গপুর স্টেশন থেকে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন এই বৃদ্ধা সঙ্গে ছিলেন খড়্গপুরের কৌশল্যার বাসিন্দা জামাই কমল মাইতি।ছিলেন কমলের স্ত্রী ও মা-সহ মোট সাত জন।মঙ্গলবারই প্রয়াগরাজে পৌঁছে যান তাঁরা। পুত্র অনুযায়ী জানা যায় বুধবার ভোরে মেলা প্রাঙ্গণে ভিড়ের মাঝে পড়ে যান বৃদ্ধা ঊর্মিলা।আর তার জেরেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। পরিবারের সদস্য অভিজিৎ মাইতির বলেন,”মা-বাবা, মেসো, মাসি, দিদা, ঠাকুর্মা মামিমা এবং আমার এক বোন সোমবার বিকেলে খড়্গপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে করে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ওঁরা প্রয়াগরাজ স্টেশন থেকে নেমে, হেঁটে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের আশ্রমে। রাতে সেখানেই ছিলেন।

এরপর ভোরে পুণ্যস্নানে বেরিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।এই দুর্ঘটনার খবর বুধবার দুপুরে আমরা ফোনে জানতে পারি। যদিও পরে প্রয়াগ রাজের মতিলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজের মর্গে গিয়ে পরিবারের মৃতদেহ সনাক্ত করেছে তার পরিবারের বাকি সদস্যরা। মৃত উর্মিলা দেবীর মেয়ের শ্বশুর বাড়ি মেদিনীপুর শহরে সমাজ বাড়ি এলাকায়।সেই বাড়িতেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in