
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
একটি ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্র ধর্মঘটে পিকেটিং করতে গিয়ে খোদ পুলিশে হাতে নিগ্রহ হয়েছে অল ইন্ডিয়া DSO এর সদস্যরা। যে ঘটনার প্রেক্ষিতে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।এবার সেই ঘটনায় কোর্টের নির্দেশে ৪ সদস্যের সিটের প্রতিনিধি দল তাদের সঙ্গে কথা বলতে এবং তদন্তের খাতিরে মেদিনীপুরে এলেন।এদিন তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা মুখ না খুললেও আক্রান্ত পড়ুয়ারা জানান তারা বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল।

বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে নিজেরাই নিগৃহীত!সেই নিগ্রহের ঘটনায় এবার তাদের বয়ান শুনতে হাইকোর্টের নির্দেশে মেদিনীপুরে এলেন চার সদস্যের এক সিটের দল।সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীকে বিক্ষোভ ও পাল্টা গন্ডগোলের জেরে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল AIDSO।সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশি নিগ্রহের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল অল ইন্ডিয়া ছাত্র সংগঠন AIDSO। তাদের অভিযোগ ছিল ছাত্র ধর্মঘটের হয়ে তারা যখন বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটির পিকেটিং করছিলেন সেই সময় মেদিনীপুরের পুলিশ প্রশাসন সেই সঙ্গেও মেদিনীপুর womans থানার ওসি সাথী বারিকের নেতৃত্বে তাদের ৪ জনকে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে আসা হয় মহিলা থানায়।এখানে তুলে এনে তাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, পায়ের বুট দিয়ে মারধর এবং পরবর্তীকালে জোর করে স্নান করানো হয় থানায়।সেই সঙ্গে বয়ান বদল নিয়ে মোমবাতির ছ্যাঁকা দেওয়ারও অভিযোগ করেছিলেন তারা।

পাশাপাশি তাদের জাতপাত তুলেও গালিগালাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।এই ঘটনার পর তারা রীতিমত কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।যেই ঘটনার প্রেক্ষিতে কোর্টের নির্দেশে এবার চার সদস্যের সিটের একটি টিম এল তাদের সঙ্গে কথা বলে বয়ান নিতে। এদিন মেদিনীপুরে শহরের কর্ণেল গোলায় SUCI ভবনের তাদের ছাত্র সংগঠন DSO এর চার পড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করতে এটি প্রতিনিধি দল ছুটে আসে।ঘন্টা দুয়েক তাদের সঙ্গে কথা বলে তারা তারা বেরিয়ে যান।যদিও এ বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা কোন মন্তব্য না করলেও আক্রান্ত পড়ুয়ার জানিয়েছেন তারা বিচার ব্যবস্থা প্রতি আস্থাশীল।

এ বিষয়ে আক্রান্ত পড়ুয়া বলেন,”গত ৩ রা মার্চ আমরা ধর্মঘটের প্রেক্ষিতেই পিকেটিং করছিলাম শান্তিপূর্ণভাবে আর সেই সময়ই এই পুলিশ বাহিনী এবং পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা আমাদের তুলে নিয়ে যায় চ্যাং দোলা করে,যার মূল নেতৃত্বে ছিলেন এই মহিলা থানার ওসি সাথী বারিক।এরপর মহিলা থানায় নিয়ে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ মারধর এবং মোমবাতির ছ্যাঁকা দেওয়া হয়,জোর করে বয়ান বদলে না দিলে ক্যারিয়ার নষ্ট করার ও হুমকি দিয়েছে তারা।যে ঘটনার প্রেক্ষিতেই আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।

সেই মামলায় আজকে সিটের প্রতিনিধি দল আমাদের সঙ্গে কথা বলে গেলেন এবং আমরা আশাবাদী যে আমাদের সঠিক বিচার হবে এবং দোষী ওই মহিলা থানার অফিসার শাস্তি পাবে।