Ghatal Flood:ঘাটালে জলে ডুবে স্কুলগুলি!পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে চিন্তায় পড়ুয়া সহ শিক্ষক মহল

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,ঘাটাল:

প্রতি বছরই সম্মুখীন হতে হয় এই পরিস্থিতি এবারো তা ব্যতিক্রম নেই।ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন।এই পরিস্থিতিতে সিলেবাস কিভাবে শেষ হবে,সেই চিন্তায় শিক্ষক মহল থেকে পড়ুয়ারা।সবাই তাকিয়ে রয়েছেন আকাশের দিকে।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি সেই সঙ্গে জল ছাড়াই নতুন করে প্লাবিত ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা।যদিও প্রথম পর্যায়ে বৃষ্টির জল নামতে শুরু করেছিল কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ের জল বৃষ্টি হওয়ায় ফের জলমগ্ন পরিস্থিতি এই অবস্থায় পড়ুয়াদের সিলেবাস নিয়ে চিন্তায় শিক্ষক মহল।এলাকার কোথাও হাঁটুসমান জল,কোথাও আবার এক মানুষ পর্যন্ত।নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি ও জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে বন্যাগ্রস্ত ঘাটালের অবস্থা কার্যত এরকমই। ঘাটাল পুরসভার ৬, ৭, ৮ নম্বর ওয়ার্ড সহ জলমগ্ন মোট ১২ টি ওয়ার্ড। যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ডিঙি বা নৌকো।ফলে,বন্ধ হয়ে রয়েছে শতাধিক স্কুল।এ দিকে, পর্ষদের নিয়ম মেনে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকার অন্যান্য হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুলগুলিতে আগস্টে দ্বিতীয় ইউনিট টেস্টের পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।জলমগ্ন এলাকাগুলির স্কুল জলের তলায় থাকলে পড়াশোনার কী হবে,এই নিয়ে চিন্তায় মহকুমার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকমহল।

এই নিয়ে শিক্ষিকা মিতা হাজরার কথায়, ‘প্রতি বছর এমন পরিস্থিতি দেখে আসছি। ফলে, পড়ুয়ারা খুব সমস্যায় পড়ে।ওদের সিলেবাস শেষ করতে না পারলে যদি পরীক্ষার রেজ়াল্ট খারাপ হয়,তার দায় ওদের ঘাড়ে ঠেলে দিয়ে আমরা ভাল থাকব কী ভাবে?’ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের গণিত বিভাগের শিক্ষক সুপ্রিয় পাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, বলা যাচ্ছে না। কিছুদিন পরেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সেমিস্টার পরীক্ষা আছে।এই জলমগ্ন পরিস্থিতি থাকলে কী ভাবে রেজ়াল্ট ভালো হবে?
যদিও এই নিয়ে যোগদা সৎসঙ্গ বিদ্যাপিঠের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী অর্পিতা সরকার এক বক্তব্যে জানান ‘আমাদের প্র্যাকটিক্যাল বা প্রথম সেমিস্টারের সিলেবাস পড়া অর্ধেকও শেষ হয়নি স্কুলে অথচ, সেমিস্টারের আর একমাস বাকি।বন্যা পরিস্থিতির জন্য প্রাইভেট টিউশন বন্ধ।

পড়াশুনা নিয়ে চিন্তায় আছি।ঘাটাল মহকুমার জলমগ্ন পরিস্থিতির কথা বিচার করে পর্ষদ কী সিদ্ধান্ত নেবে, সে প্রসঙ্গে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক স্বপন কুমার সামন্ত বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। পর্ষদের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। মেলও করেছি। আশা করি সদর্থক কোনও উত্তর পাব।’যদিও এখন সবাই তাকিয়ে আছে ঘাটালের পরিস্থিতির স্বাভাবিক হওয়ার দিকে।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in