নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
পুলিশ ফাঁড়ি ঢেকেছে বিজ্ঞাপনে,এ রকমই ছবি মেদিনীপুরে। আর সেই ফাঁড়ির চার দেয়ালের গায়ে এক ও একাধিক সরকারি বেসরকারি বিজ্ঞাপন।এরই সঙ্গে মানুষ নোংরাও ফেলছে এই ফাঁড়ির গায়ে আর সেই নোংরা ফেলা আটকাতে বিজ্ঞাপন দিয়ে দায় এড়িয়েছে পুলিশ আধিকারিকরা। সমালোচনা রাজনৈতিক মহলে।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ কোন নতুন কথা নয়।বিভিন্ন সময় বিরোধীরা পুলিশের বিরুদ্ধে এক ও একাধিক অভিযোগ তুলেছে।অভিযোগ তুলেছে সাধারণ মানুষ এমনকি খোদ শাসকদল মাঝে মাঝেই তার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে।তবে আবার শেষ পর্যন্ত সবাই ভরসা রাখে সে পুলিশের উপর। কিন্তু মেদিনীপুর শহরের হবিবপুর ফাঁড়ির অবস্থা এক অন্যরকম।এদিন দেখা গেল এই ফাঁড়ির দেওয়াল জুড়ে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনে ঢেকেছে।কোনটা স্বাস্থ্য সম্বন্ধিত,কোনটা আবার পড়াশোনার বিজ্ঞাপন,কোথাও আবার পড়াশোনার জন্য বিজ্ঞাপন।
এছাড়াও জ্যোতিষ শাস্ত্র,শিক্ষামূলক সহ একাধিক বিজ্ঞাপনে মুখ ঢেকেছে এই পুলিশ ফাঁড়ি।এছাড়াও এই ফাঁড়ির নির্দিষ্ট দেওয়ালে রীতিমতো লিখে টাঙ্গাতে হয়েছে ফাঁড়ির সামনে নোংরা ফেলবেন না।কারণ বহু মানুষ তার বাড়ি যাবতীয় নোংরা খেলছে এই ফাঁড়ির দেওয়াল গোড়া বরাবর।যার দরুন রীতিমতো তিতিবিরক্ত হয়েই কাগজে লিখে টাঙিয়েছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মীরা।যার ফলে দূর থেকে দেখলে পুলিশ ফাঁড়ি না বিজ্ঞাপন কেন্দ্র তা বোঝা দায়।আর তাই নিয়েই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা ও শহরজুড়ে। আর পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা বিরোধীরা শানিয়েছে তাদের অস্ত্র।তারা ছুঁড়ে দিয়েছে এই পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ ও বিরক্তি।যদিও এই ঘটনায় খোদ অস্বস্তিতে শাসকদল।অপরদিকে এ ঘটনায় মুখে কুলুপ পুলিশকর্তাদের।
এ বিষয়ে বিজেপি জেলা মুখপত্র অরূপ দাস বলেন ঠিকই তো আছে অসুবিধা কোথায়।এখন তো পুলিশ পুলিশের কাজের থেকে তৃণমূলের দলদাসের বেশি কাজ করছে।কে বেশি তৃণমূল জেলা সভাপতি এবং তৃণমূল নেতাদের কাছের,তাই প্রমাণ করার তারা চেষ্টা করছে তারা।
যদিও এ বিষয়ে কটাক্ষ করেছে বামেরা।সিপিআইএম শহুরে নেতা কুন্দন গোপ বলেন রাজ্য যেমন চলছে পুলিশ ও তেমনি চলছে।শহুরে ফাঁড়ি গুলো কোনও কাজেও লাগে না কোনও কাজেও আসে না।ভুতুড়ে বাড়ির মত পড়ে রয়েছে।সেগুলোকে অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়াই উচিত ছিল। কারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে থানায় যায় সেখানেই কাজ হয় না তো ফাঁড়িগুলোকে রেখে আর লাভ কি আছে,তুলে দিলেই হয়।যদিও এ বিষয়ে অস্বস্তিতে শাসক দল। তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষর নজর দেওয়া উচিত।