Sputum Infection : থুতুতে সংক্রমণ!যত্রতত্র থুথু ফেলে রোগ ছড়াচ্ছে অসচেতন মানুষ,আইন আনার ভাবনা পৌরসভার

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :

4জি শেষ করে আমরা ফাইভ-জি তে ঢুকে পড়েছি, ইতিমধ্যে ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে প্রায় সবাই,শহর থেকে মফস্বল এবং অজ পাড়া গাঁ। অন্যদিকে নতুন করে মহামারী করোনার ভ্রুকুটি।তবু সচেতন হচ্ছেন না শিক্ষিত থেকে সাধারণ মানুষ। তাই অভ্যাস মতো যত্রতত্র নোংরা গুটখা সহ কফ এর থুতু ছিটিয়ে যেমন একদিকে নোংরা করছে পরিবেশ তেমনি রোগ ছড়াচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রতিদিনকার রুটিন মত সচেতনতার বার্তা কেউ আমরা ছড়িয়ে দিচ্ছি না এবং মানছি না কোন সতর্কবার্তা।বহু কর্পোরেট অফিস নার্সিংহোম,সরকারি দপ্তরে যেখানে সেখানে থুতু ফেললে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে সাধারণ মানুষ নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে না ফেলে যত্রতত্র থুথু ফেলার অভ্যেস মানুষের রয়েই গেছে।আর এই অভ্যেস রোগের বহর ছড়াচ্ছে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষের।যেখানে মেদিনীপুর হাসপাতালেও লেখা আছে হাসপাতাল চত্বরে থুতু ফেলবেন না,থুতু ফেললে পাঁচ হাজার টাকায় জরিমানা করা হবে।তবুও কে শোনে কে কার কথা। সেই বোর্ডের উপরেই থুথু ফেলে পানের পিক ফেলে নোংরা করছে অসচেতন মানুষজন।এর ফলে একদিকে যেমন রোগের প্রকোপ বাড়ছে,তেমনি বাড়ছে নোংরা পরিবেশ।খোদ পৌরসভা তার চত্বরে নোংরা থুতু পানের ও গুঠখার পিক যাতে না ফেলে তার জন্য বহু আগেই ভগবানের ছবি সেঁটে দিয়েছে।

একসময় মহামারী covid এর সময় মানুষের চলাফেরা করলেও সেই তার উপরেই বারে বারে স্যানিটাইজড করতো পৌরসভা ও প্রশাসন। যাতে এই মহামারী করোনা ভাইরাস কোনভাবেই কারো থেকে ছড়িয়ে না পড়ে।এই মহামারীই মানুষের মনে ঢুকিয়ে দিয়েছিল যত্রতত্র থুথু ফেলা যাবে না,ছোঁয়া যাবে না কাউকেই। কারণ এতেই রোগ ছড়ায়।কিন্তু তারপর মহামারী কেটেছে কিন্তু হুঁশ ফিরছে না জঙ্গলমহলের মানুষের।ক্ষোভ সমাজে।

এই বিষয়ে চন্দন সিংহ,পিনাকী পাল,মানব মানা,অনুপ ঘোষরা বলেন কিছু কিছু মানুষের অজ্ঞতা এবং অসচেতনতা আমাদের বিপদ ডেকে আনছে। এত বড় করোনা মহামারী আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেলেও এখনো বহু মানুষ অসচেতন তাই তারা যত্রতত্র থুতু পানের পিক, গুটখার পিক ফেলে নষ্ট করছে সমাজ,বাড়াচ্ছে সংক্রমণ। এই বিষয়ে প্রশাসনকে কড়া হতে হবে সঙ্গে মানুষকে হতে হবে সচেতন। না হলে হয়তো আবার কোন মারণব্যাধিতেই হারিয়ে যাবে মনুষ্য জাতি।

যদিও এই বিষয়ে মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন মানুষ তার স্বভাব কিছুতেই পরিবর্তন করতে পারছে না।তবে রাজ্য কেন্দ্র থেকে আইন এলেই পৌরসভা সেই আইন কে বাধ্যতামূলক করে দেবে এই শহরে।

অপরদিকে এই বিষয়ে কড়া মনোভাব স্বাস্থ্য দপ্তরের।জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শঙ্কর সড়ঙ্গী বলেন মানুষ সচেতন হয়নি।সব কিছু প্রশাসন দিয়ে হয় না।মানুষ কে সচেতন হয়ে জানতে হবে নিজের থুতু অন্যের জীবাণু সংক্রমণের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।আমরা হাসপাতালে বলে বলে হাঁপিয়ে উঠেছি। আমরা ফাইনেরও ব্যবস্থা করেছি কিন্তু তাতেও সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। মানুষ সচেতন হলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেই আমাদের মনে করি।


Share

dnews.in