নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা :
এইদিন নির্দিষ্ট কর্মসূচি অনুযায়ী কলকাতার ব্রিগেডে পাঠ হল লক্ষ কণ্ঠে শ্রীমদ্ভগবত গীতা।পড়া হয়েছে গীতার ৫টি অধ্যায়।মূলত শঙ্খধ্বনি ছাড়াও ছিল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই গীতা পাঠে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং দ্বারকার শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতী তারই সঙ্গে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দ্বৈতাপতি।এই গীতা পাঠে এইদিন মঞ্চ থেকে গলা মিলিয়েছেন সকল ধর্মের মানুষজন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কলকাতার ব্রিগেডে অনুষ্ঠিত হলো লক্ষ কন্ঠে শ্রীমদ্ভগবত গীতা পাঠ। আর সেই গীতা পাঠে অংশ নিলেন বিশিষ্টজনেরা।যদিও এই গীতা পাঠ নিয়ে শঙ্করাচার্য এক বার্তায় বলেন,”কলকাতায় যা হচ্ছে তা এক প্রকার ঐতিহাসিক।’গীতা পাঠ প্রতিদিনের জীবনের জন্যও প্রয়োজনীয়।দ্বারকা পীঠের শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতীর কথায়,’গীতার পাঠ শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে দিয়েছিলেন।সেই রথে ছিলেন অর্জুন আর শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন সারথি।সেই হিসাবে বলা যায় আমাদের শরীর রথ।এই রথের সারথি যদি আমরা নারায়ণকে বানিয়ে দিই।তাহলে আমাদের কখনও পতন হবে না।এই শরীর রথ,পরমাত্মা তার রথী।আমাদের চেতনে-বুদ্ধিতে যদি শ্রীকৃষ্ণ বসে যান তাহলে আমাদের শরীর-মন সন্মার্গে চলে।যদিও এই ব্রিগেডে উপস্থিত থাকতে না পারলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক বিশেষ বার্তায় বলেন”এক লক্ষ মানুষের সমবেত গীতা পাঠের কর্মসূচি সত্যিই প্রশংসনীয়।পরম্পরা,জ্ঞান এবং দার্শনিক- আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনার মেলবন্ধনই আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।এই সাংস্কৃতিক বৈচিত্র ও সম্প্রীতি আমাদের শক্তি।মহাভারতের সময় থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন,বর্তমান সময়েও গীতা সকলের অনুপ্রেরণা। আমি নিশ্চিত,একসঙ্গে এত মানুষের কণ্ঠে গীতা পাঠ আমাদের সামাজিক সম্প্রীতিকে আরও জোরদার করার পাশাপাশি, দেশের উন্নয়ন-যাত্রাকে শক্তি জোগাবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই ব্রিগেডে শঙ্খধ্বনির সঙ্গে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে এদিন পড়া হয়েছে গীতার ৫টি অধ্যায়।নির্দিষ্ট কর্মসূচি অনুযায়ী সকালে হয় কলস স্থাপন,হরিনাম সঙ্কীর্তন।অনুষ্ঠান উপলক্ষে ব্রিগেডে তৈরি হয়েছিল দুটি ভাগে তৈরি বিশাল মঞ্চ।মূলত লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের জন্য ব্রিগেডকে ২০টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছিল। যদিও এদিনে গীতা পাঠ কে কেন্দ্র করে মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল দেখার মত।