নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
বেঁচে থাকা অবস্থায় এবং মারা যাবার পরও সমাজের উপকার করা যায়,শুধু ইচ্ছে থাকতে হবে-তাই এবার মরণোত্তর দেহ দান করে গেলেন বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি নিমাইচরণ খাঁড়া। মেয়ে জামাই ও পরিবার পরিজন থাকা অবস্থায় তার মৃতদেহ তুলে দেওয়া হলো মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ কে। পুরো কর্মসূচিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও মেদিনীপুরের বিজ্ঞান মঞ্চ।
এইদিন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সহযোগিতায় ও পরিবারের পক্ষ থেকে মেদিনীপুর শহরের অধিবাসী ও বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি নিমাইচরণ খাঁড়ার মরনোত্তর দেহ দান করা হয়।এই অঙ্গীকার পত্র মোতাবেক মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে এই মৃতদেহ চিকিৎসা শাস্ত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজে লাগানো হবে। মৃত্যুর পরেও সমাজে এই ধরনের কল্যাণকর কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করার লক্ষ্যে এই দেহ দান করা হল। মৃত্যুকালে নিমাইচরণ খাঁড়ার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মৃতের পরিবারের দুই কন্যা ও দুই জামাতা,পরিবার পরিজন।এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের জেলা সহসম্পাদক ড.বাবুলাল শাসমল,মেদিনীপুর শহর বিজ্ঞান কেন্দ্রর সম্পাদক সুকুমার সাহা,অফিস সম্পাদক অঙ্কুর কুমার সেন ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষের চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন হচ্ছে,পরিবর্তন হচ্ছে সংকীর্ণ মানসিকতার।তাই মৃত্যুর পরও নিজের দেহকে যাতে শিক্ষণীয় বিষয় হতে পারে এই কলেজ পড়ুয়াদের সেই মৃত নিজের দেহদান করে গেলেন নিমাই বাবু। যদি ওই মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ সকলে জানিয়েছেন।কারণ এর আগেও বহু মানুষ এই ধরনের মরণোত্তর দেহ দান করে গেছেন।এইদিন কর্মসূচিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় মেদিনীপুর বিজ্ঞান মঞ্চ।