নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
এই আইসক্রিম কেনার সঙ্গে সঙ্গে হাতে পাওয়া যাবে না বরং খেলার ছলে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কেড়ে নিতে হবে।এরকমই টার্কিশ আইসক্রিম মেদিনীপুরের ফুড ফেস্টিভ্যালে,আর তা খেতে ভিড় জমিয়েছে আইসক্রিম প্রেমীরা। প্রায় ৪৬ রকমের আইসক্রিম নিয়ে এসেছেন উদ্যোক্তারা।
বিদ্যাসাগর হলে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে ফুড ফেস্টিভ্যাল।এবারের ফেস্টিভালে প্রায় অন্যান্য শতাধিক স্টলের সঙ্গে অংশ নিয়েছে Turkis Yano আইসক্রিম স্টল।মূলত এই আইসক্রিম খাওয়ার থেকে খেলায় বেশি আকর্ষণীয় উঠেছে এই ফুড ফেস্টিভালে।একটা লোহার ডান্ডাতে করে এই আইসক্রিমের ক্রিম নিয়ে বার বার গ্রাহকের কাছে নিয়ে যাচ্ছে,বিস্কুটে দিচ্ছে আর বারবার কাড়িয়ে নিচ্ছে আর তা নিতে মজা এবং উৎসাহ উপভোগ করছে গ্রাহকরা।যদিও অবশেষে গ্রাহকদের তিতিবিরক্ত করে আইসক্রিম হাতে তুলে দিচ্ছে দোকানদার।ফলে শেষ পর্যন্ত রাত ক্ষোভ রাগ ধরলেও মজার ছলে সেই আইসক্রিম নিচ্ছে গ্রাহকরা এবং এইভাবেই খেলার ছলে আইসক্রিম বিক্রি করছে এই স্টলের দোকানদাররা।যা আগেও বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে,রাজ্যে দেখা গেল জঙ্গলমহল অধ্যুষিত এই মেদিনীপুরে এই প্রথম।একদম নতুনত্ব একদম ইউনিক আইটেম বলা যেতে পারে।এই স্টলে ফ্রেঞ্চ ভ্যানিলা,আরবিয়ান নাটস,পার্পল বেরি সহ রয়েছে ভিনদেশিয় প্রায় ৪৬ রকমের আইসক্রিম।এই দিন সেই আইসক্রিমের খেলায় মেতে উঠলো পাঁচ থেকে পঞ্চাশ বছরের মানুষজন।
এই বিষয়ে আইসক্রিম স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী বাবাই সিংহ রাজপুত বলে মূলত এই আইসক্রিম খাওয়ার থেকে খেলাটাই মূল অংশ। মূলত বিদেশী ৪০ থেকে ৪৬ রকমের আইসক্রিম রয়েছে আমাদের কাছে।আমাদের আইসক্রিমের দাম ১০০ টাকা থেকে শুরু।এই আইসক্রিম বিভিন্ন রাজ্য ও দেশে বিক্রি হয়েছে।এরপর আমরা মেদিনীপুরে এসেছি।উদ্দেশ্য খেলার ছলে আইসক্রিম বিক্রি করা।
তবে ইশা,অর্চিস্মিতা পালরা বলে এই ধরনের খেলা আগে খেলিনি।তাই খেলার ছলে আইসক্রিম খাওয়া আমাদের কাছে বিরাট বড় পাওনা।ফুড ফেস্টিভাল এসে এই ধরনের আইসক্রিম পেয়ে আমরা খুব খুশি।যদিও অভিভাবক অবন্তী পালের বক্তব্য ছোট থেকে বড় সবাই মজা পায় এই ধরনের খেলায়।যেখানে আইসক্রিম খাওয়াটা উদ্দেশ্য নয় বরং খেলার ছলে আইসক্রিম পাওয়াটাও বড় ব্যাপার।আগে আমরা বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের খেলা দেখেছি এখন মেদিনীপুরের ফুড ফেস্টিভালে এই আইসক্রিম পাওয়া যাচ্ছে এটা খুব ভালো লাগছে।