নিজস্ব প্রতিনিধি,পুরুলিয়া:
দশটা বিশাল বড় হাতির সমান একটি ডাইনোসর।যারা হিম যুগে আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যায়।ঝালদা ২ নম্বর ব্লকের চিতমু গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থি পাহাড়ে আনন্দমার্গীদের এই দাবিকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে পুরুলিয়া জেলা জুড়ে।এই হিম যুগে ডাইনোসরের অস্তিত্ব ছিল এই এলাকায়।তাদেরই হাড় দিয়ে তৈরি এই পাহাড়, যা আজ অস্থি পাহাড় নামে পরিচিত।পাহাড়ের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিশালাকার জীবাশ্ম।এগুলি বৃহদাকার সরীসৃপ জাতীয় মেরুদণ্ডী অবলুপ্ত ওই ডাইনোসরের পশ্চাৎ বা লেজের অংশ বলে দাবি আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের।
মূলত ১৯৮০ দশকে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাতরঞ্জন সরকার ওরফে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তি পাহাড় চূড়ায় তপস্যা করার সময় সেখানকার পাথর নিরীক্ষণ করে বলেছিলেন ডাইনোসরের অস্তিত্বের কথা। তারপরেই জায়গা চিহ্নিতকরন করে সেখানে এই ডাইনোসরের জীবাশ্ম বিষয়ে বড় বোর্ড বসান আনন্দমার্গীরা।পরবর্তীকালে এই পাহাড়ের জীবাশ্ম পরীক্ষা নিরীক্ষা করার দাবি তোলেন তাঁরা ১৯৮০ থেকে দীর্ঘ চার দশকে ওই ২০০ ফুট উঁচু পাহাড় চূড়া ঘুরে এসেছেন প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক।সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীদের এই ফসিল নিয়ে পুরুলিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চলছে।ওই এলাকায় শাল জাতীয় বৃক্ষ, বড় জন্তু-জানোয়ারের কোমর,বাঘের মুখ,সিংহ জাতীয় জীবের পায়ের নিচের অংশের চিহ্ন মিলেছে আগেই।
এছাড়া অতি প্রাচীন কঠিন শিলা,সেই সঙ্গে রুপো,অভ্র মিশ্রিত শিলাও উদ্ধার হয়েছে।সেই থেকে এই পাহাড়ের ইতিহাস মানুষকে আরও আকর্ষন করে থাকে। কিন্তু পাহাড়ের গায়ে বিশালাকার জীবাশ্মের হদিশ মেলায় রহস্য দানা বেঁধেছে।উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে মানুষের মনে।আনন্দমর্গি থেকে সাধারন মানুষ সকলেরই দাবি,জীবাশ্ম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কার্বন রেটিং, অন্বেষণ,গবেষণ করে আসল সত্য বেরিয়ে আসুক।