Administrative Meeting:রাত ফুরালেই জেলায় মুখ্যমন্ত্রী!উদ্বোধন হবে 355 কোটির 374 প্রকল্প

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর:

পুরুলিয়া,বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম,পূর্ব মেদিনীপুরের পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মেদিনীপুর কলেজ কলিজিয়েট মাঠে চলছে তারই জোর তৎপরতা।লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে এটাই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী শেষ সভা।তবে তিনি ভোটের প্রচারে আবার আসবেন বলে সূত্রে খবর।সূত্র অনুযায়ী এই সভা মঞ্চ থেকে একাধিক প্রকল্প এবং একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস হওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে।

লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পুরুলিয়া বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম পূর্ব মেদিনীপুরের পরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের সভা করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর আগামী ৪ ঠা মার্চ মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে মেদিনীপুরে আসবেন।এরপর তিনি সার্কিট হাউসে রাত্রি যাপন করার পর ৫ই মার্চ তিনি কলেজ কলিজিয়েট মাঠে প্রশাসনিক সভায় অংশগ্রহণ করবেন। এই সভা ঘিরে এখন মেদিনীপুরে সাজ সাজ রব।মেদিনীপুরের তৃণমূল কর্মীরা সহ তৃণমূল নেতৃত্ব মন্ত্রী এবং পৌরসভা, বিধায়করা উঠে পড়ে লেগেছে মুখ্যমন্ত্রী সভাকে সফলভাবে বাস্তবায়িত করার জন্য। প্রশাসন সূত্রে খবর মুখ্যমন্ত্রীর সভা ও কলেজ মাঠে হলেও হেলিপ্যাড করা হয়েছে কলেজ মাঠে,বিধান নগর মাঠে।এরই সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাম বাগানের মাঠেও নামতে পারেন।

তিনি দুপুর বিকেল নাগাদ এই হেলিকপ্টার থেকে নেমে সার্কিট হাউসে গাড়িতে করে যাবেন।এরপর পরের দিন গাড়িতে করে তিনি কলেজ মাঠে সভাস্থলে উপস্থিত হবেন এবং সভা শেষ করার পর তিনি হেলিকপ্টারে করেই কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেবেন। সূত্রে খবর এই দিন সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুরের সভা থেকে ৩৭৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন।প্রকল্পগুলি রূপায়ণে খরচ হয়েছে সবমিলিয়ে ৩৫৫ কোটি টাকা।ঐদিন প্রায় ১,১৯৩টি প্রকল্পের শিলান্যাস করতে পারেন তিনি। প্রকল্পগুলি রূপায়ণে খরচ হবে সবমিলিয়ে ১,৯২১ কোটি টাকা। এরই সঙ্গে একগুচ্ছ রাস্তার (পথশ্রী),একগুচ্ছ জল সরবরাহ প্রকল্পের (জলস্বপ্ন) শিলান্যাস করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া মেদিনীপুর খড়গপুর মিলিয়ে এমকেডিএ-র ৬টি প্রকল্পের শিলান্যাস হতে পারে।অন্যদিকে ঘাটাল দাসপুরের বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের একটি প্রকল্পের শিলান্যাস হতে পারে।সেই প্রকল্পটি হল, ঘাটালের আলমগঞ্জে পাম্প হাউস নির্মাণ।এরই সঙ্গে কয়েকটি স্কুল হস্টেলের উদ্বোধন হতে পারে।মেদিনীপুর কালেক্টরেটে ‘ওয়াচ টাওয়ার’ তৈরি করেছে এমকেডিএ।

এটির উদ্বোধন হতে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে।পাশাপাশি দাঁতনের এসিজেএম কোর্ট ভবনের উদ্বোধন হতে পারে। সবংয়ের রুইনানের মাদুর হাবের,পিংলার ডাংরার সেতুর (কপালেশ্বরী নদীর উপর) উদ্বোধন হতে পারে। মোট ১২ টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন হওয়ার কথা।যেমন, খড়্গপুর- ১ এর দেওয়ানমারো, চন্দ্রকোনা- ১ এর খরকপুর, চন্দ্রকোনা- ২ এর সীতানগর প্রভৃতি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের।

যদিও এই নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া বলেন কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা দিতে পারেনি।তবে মুখ্যমন্ত্রী এই ১০০ দিনের টাকা একাউন্টে দিতে চলেছেন।এরই সঙ্গে তিনি সভামঞ্চে এসে ভাষণ দেবেন এবং বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।যেখানে জনসমাগম করবে হাজার হাজার মানুষের।

অন্যদিকে মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানের সৌমেন খান বলেন মুখ্যমন্ত্রী আসার জন্য আমরা সব দিক দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছি।আমাদের শহর এবং জেলার বিভিন্ন প্রকল্পর উদ্বোধন এবং শিলান্যাস কথা রয়েছে।এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।


Share

dnews.in